দ্রৌপদী মুর্মু’র সঙ্গে বৈঠকেও দলীয় বিধায়কদের হাজির করতে ব্যর্থ বঙ্গ বিজেপি?
দলীয় বিধায়কদের নিয়েই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। মঙ্গলবার সকালে শিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাসভবনে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যে প্রচার শুরু করেন এনডিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তারপরই বিজেপি’র সব বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। শহরের এক অভিজাত হোটেলে সেই বৈঠক হয়। কিন্তু সেখানে বিজেপি’র সব বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে মোট ৭৭ জন বিধায়ক জিতে এলেও, সাতজন ইতিমধ্যেই দল বদলে তৃণমূলে গিয়েছেন। বাকি যে ৭০ জন বিধায়ক এখনও বিজেপি’র হাতে থাকার কথা, তাঁদের মধ্যে ৬৮ জনকে এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী অসুস্থ থাকায়, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সদ্য দলবদল করা বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ছেলেকেও বৈঠকে ডাকা হয়নি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল এই ৬৮ জন বিধায়ককেও একজোট করতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। এই ৬৮ জন বিধায়কের মধ্যে ৬৫ জন এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পাহাড়ের দুই বিধায়ক নীরজ জিম্মা এবং বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা অনুপস্থিত ছিলেন। মতুয়া বিধায়ক মকুটমণি অধিকারীও অনুপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে পাহাড়ে রয়েছেন। পাশাপাশি জিটিএ নির্বাচনের পর পাহাড়ে যেভাবে অনীত থাপার দলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তাতে পাহাড়ের দুই বিজেপি বিধায়কের এদিন অনুপস্থিত থাকাটা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। মুকুটমণি অধিকারীও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হওয়ায় দলের কাছে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।