কোষাগারের অবস্থা শোচনীয়, ফের পুরোনো অস্ত্র গণসংগ্রহই হাতিয়ার CPI(M)-এর
বাংলার মসনদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে বামেরা। এক দশকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত ক্ষমতাহীন সর্বহারারা। বিধানসভায় কোন প্রতিনিধি নেই, রাজ্য থেকে লোকসভাতেও সিপিআইএমের কেউ নেই। সংগঠন একেবারেই তলানিতে। স্বভাবতই দল চালাতে সিপিআইএমের পকেটে পড়েছে টান। পার্টি সদস্যরাও অনেকেই নাকি লেভি দিতে দোনামোনা করছেন। সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, এমনি নাকি পরিস্থিতি। তাই অগত্যা ফের পুরোনো অস্ত্র গণসংগ্রহকেই হাতিয়ার করে নামছে সিপিএম।
রাস্তায় নেমে রীতিমতো কৌটো বাজিয়ে চাঁদা তোলাই ভরসা বামেদের। আলিমুদ্দিনের কোষাগারের অবস্থা শোচনীয়। জমানো টাকার সুদেও মিটছে না ঘাটতি। এরপরেও আলিমুদ্দিনের উপর বোঝা চাপিয়েছে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের নিয়ম মেনেই বিগত এবং চলতি বছরের জন্য দিল্লির পার্টি সেন্টারে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে আলিমুদ্দিনকে। নিরুপায় সিপিআইএমের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কৌটো ঝাঁকানোই এখন এক চিলতে আলোর দিশা।
জেলা নেতৃত্বদের আগামী পুজোর আগে গণসংগ্রহের মাধ্যমে ১ কোটি টাকা তোলার টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা। শোনা যাচ্ছে, এবারই প্রথম এতো বিপুল পরিমাণ টাকার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হল। শোনা যাচ্ছে, আগামী ২ মাসের মধ্যে নিয়মিত রাস্তায় নেমে ওই টাকা তুলবে সিপিএম। তেমনই নির্দেশ দিয়েছে দলের রাজ্য সম্পাদক।
কেবল রাজ্য পার্টির কোষাগারের জন্যই নয়, একই সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের জন্যও টাকা তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই কারণেই এক কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেলেও, চাঁদা তোলা সমান গতিতে চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন সিপিএম নেতারা। কমরেডদের জেলাগতভাবে চাঁদা তুলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের খরচ জোগানের নিদান দেওয়া হয়েছে। জ্যোতি বসু সেন্টার নির্মাণের জন্যেও মোটা টাকা তোলার দিকে এগোচ্ছে সিপিএম। প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই টাকাও জনগণের থেকেই তুলবে সিপিএম।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগেই জানা গিয়েছিল রাজ্য সিপিআইএমের কোন প্যান (PAN) নেই। অর্থাৎ এতো কোটি কোটি টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী হচ্ছে তার কোন হদিশ পাওয়া যায় না। এই নিয়ে সে সময় দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যেও তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।