“বিশ্বাস করুন আপনাদের দখল নিতে আসব না” দার্জিলিঙে অঙ্গীকার মমতার
মঙ্গলবার ১২ জুলাই জিটিএ-র নয়া বোর্ডের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই পাহাড়বাসীর জন্য বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দার্জিলিংবাসীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি দখল নিতে আসবেন না, তিনি ভালবাসতে আসবেন।
এদিন শপথগ্রহণের মঞ্চ থেকেই কার্যত পাহাড়ের আর্থিক উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে পাহাড়ের কর্মসংস্থানের দিশাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের মহিলারা গাড়ি চালালে, গাড়ির কিনতে তাদের ঋণ দেবে রাজ্য সরকার।মহিলাদের স্বনির্ভরতায় জোর দিয়ে সেলফ হেল্প গ্রুপ তৈরির কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাহাড়ে আইটি হাব তৈরির জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে আইটি সংস্থাগুলিকে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের যানজট থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, কিছুরই সমাধান করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪-এর আগে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে যাবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পানীয় জলের প্লান্ট গড়ে বা রিজার্ভার তৈরি করে ঝরনার জল সংরক্ষণের কথা ভাবছে রাজ্য।
দার্জিলিঙে ২০০ একর জমির উপর গড়ে উঠবে নতুন ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল হাব। হোম স্টে, শপিং মল, ওয়্যার হাউজ, পর্যটকদের জন্য থাকার জায়গা সব কিছুই রাখা হবে সেখানে। পর্যটক টানতে তৈরি হচ্ছে হোম স্টে, চা বাগানের মধ্যে পর্যটকদের রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে গড়ে তোলা হবে আইটি হাব। পেশাগত সুরক্ষা দিতে দোকানদারদের ফুটপাথের দোকানের বদলে অন্যত্র বড় দোকান তৈরি করে দেওয়া হবে। ফলে যানজট কমবে।
পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ডাওহিলে এডুকেশন হাবের পাশাপাশি মংপুতে হিল ইউনিভার্সিটি তৈরি হবে। পাহাড়ে নয়া ক্যাম্পাস তৈরি করছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। হর্টিকালচারের হাব, মাল্টি-লেভেল কার পার্কিং ইত্যাদি তৈরি হবে। কার্শিয়াং থেকে রোহিনী পর্যন্ত রোপওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। মিরিকে তৈরি হবে ইকো টুরিজম।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়বাসীদের কারও প্ররোচনায় পা দিতে নিষেধ করেন। তিনি জানান পাহাড় উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। সেই কারণেই পাহাড় জিটিএ চায়। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, অনেকেই পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সেই চেষ্টা আর সফল হবে না। পাহাড়ের শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য।