জাতীয় প্রতীকের অবমাননা! মোদীর উদ্বোধন করা নতুন অশোক স্তম্ভ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
১১ জুলাই, সোমবার ব্রোঞ্জ নির্মিত জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকে তা নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। অশোক স্তম্ভের সিংহের আদল অনেকটাই বদলে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের মাথায় যে জাতীয় প্রতীকটি উন্মোচন করেছেন, সেটি আসলটির থেকে আকারে-প্রকারে অনেকটাই আলাদা। এবং পরোক্ষে মোদী সরকারের চরিত্রই ফুটিয়ে তুলছে।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তরফে টুইটারে লেখা হয়েছে, সারনাথের মন্দিরের যে অশোক স্তম্ভকে ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তার সিংহটি অনেক সৌম্য এবং শান্ত স্বভাবের। তুলনায় নতুন সংসদ ভবনের উপরের নতুন অশোক স্তম্ভের মূর্তিটি হিংস্র। তাদের দেখে মনে হচ্ছে গিল খেতে আসছে। কটাক্ষ করে আরজেডি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতীককে সাধারণত চরিত্র বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়। মোদী সরকারের নতুন প্রতীকেও তার চরিত্র স্পষ্ট।
আরও পড়ুনঃ মোদীর অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন কি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন? বিরোধীদের প্রশ্ন
এবিষয়ে সমালোচনা করেছেন আইনজীবী তথা সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণও। সারনাথের সিংহকে গান্ধীর মতো শান্ত এবং নতুন সংসদ ভবন সেন্ট্রাল ভিস্তার সিংহকে নাথুরাম গডসের মতো উগ্র বলে তুলনা করেছেন তিনি। প্রশান্ত টুইটারে লিখেছেন, এটাই মোদীর নতুন ভারত!
নতুন অশোক স্তম্ভের সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তবে তিনি কোনও মন্তব্য করেন নি। কেবল পুরনো এবং নতুন অশোক স্তম্ভের ছবি দুটি পাশাপাশি টুইটারে পোস্ট করেছেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য এবং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন প্রধান জহর সরকারও টুইটারে দু’রকম প্রতীকের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জাতীয় প্রতীকের অবমাননা। বাঁ দিকে আমাদের আসল প্রতীক। রাজকীয় অথচ কমনীয় সিংহ। মোদীর সংস্করণটি অকারণ উগ্রতায় পরিপূর্ণ। অবিলম্বে এটি বদলানো দরকার’।
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী লিবারেশনের নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, নয়া অশোক স্তম্ভে সিংহের মুখের আদল বদলে গিয়েছে।