পিএম কেয়ার্স ফান্ডের খরচ নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা দিল্লি আদালতের
পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে মোদী সরকারের রহস্যজনক ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দেশের সাধারণ নাগরিক। পিএম কেয়ার্স ফান্ডের খরচ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মাত্র এক পৃষ্ঠায় জবাব দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে তীব্রভাবে ভর্ৎসিত হল মোদী সরকার। সেই সঙ্গেই পিএম কেয়ার্স ফান্ডের খরচ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, মোদীর নির্দেশে ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে পিএম কেয়ার্স ফান্ড গড়ে তোলা হয়। করোনা সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের করতেই এই ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। বিপুল পরিমাণ অর্থ জমাও পড়ে। কিন্তু তারপরে কোন খাতে কী খরচ হল তার আর হদিশ পাওয়া যায় না। পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা পড়া অনুদান কোন খাতে ব্যবহার করা হল, তা জানতে চেয়ে আদালতের দারস্থ হন আইনজীবী সম্যক গাঙ্গোয়াল।
পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে করোনা টিকা সংক্রান্ত গবেষণা ও অন্যান্য খাতে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদী সরকার। স্বভাবসিদ্ধভাবেই সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি মোদী সরকার। পিএম কেয়ার্স ফান্ডের খরচের হিসেবে চেয়ে RTI করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার ১২ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা ওঠে। এক পাতার জবাব নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেন দুই বিচারপতি। মামলাকারীর আইনজীবীর প্ৰশ্নের কোন জবাব দেয়নি কেন্দ্র। এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন দুই প্রবীণ আইনজীবী। মোদী সরকারকে মামলাকারীর প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।