বঙ্গ সফরে দ্রৌপদীর সঙ্গে কোকেন কাণ্ডে খ্যাত পামেলা! বিতর্কে বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী
বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ঘুরছেন কোকেনের কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো পামেলা গোস্বামী। এমন দৃশ্যর সাক্ষী থাকল কলকাতা। নিষিদ্ধ মাদক কোকেন ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে পামেলাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এরপর জেল থেকে জামিনে মক্তি পাওয়া পামেলা গোস্বামীকে দেখা গেল দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে, কেবল দেখাই নয়। বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর সঙ্গে কথাও বলতে শোনা যায় পামেলাকে। কেবল মুর্মু নয়, একই ফ্রেমে শুভেন্দু অধিকারীকেও পামেলার সঙ্গে দেখা গিয়েছে। এতেই বেজায় চটেছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। পামেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে তীব্র ক্ষোভ জমেছে।
উল্লেখ্য, মে ২০২১-শে যুব মোর্চার এই নেত্রীকে ক্লিন চিট দেয় পুলিশ। পামেলার গাড়িতে অমৃত রাজ সিংহ নামক যে ব্যক্তি মাদক রেখেছিল, সেই ব্যক্তি এখনো পলাতক।
১৩ জুলাই দ্রৌপদীর কলকাতা সফরে পামেলার উপস্থিতি নিয়ে তীব্র বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের সাফ কথা, এই প্রথম কোন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কেবল নিজের দলের কাছে ভোট চাইলেন। কোন কারও কাছে সমর্থনের জন্য কোন আবেদন করেনইনি দ্রৌপদী। ফলত তৃণমূল যে তাকে ভোট দিচ্ছে না তাঁর স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দ্রৌপদীর এহেন আচরণ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি অফিসে ছিলেন, কিন্তু কেউ তার কাছে ভোটের আবেদন করেনি। তিনিই জানাচ্ছেন, এমনটা এই প্রথম ঘটল। দ্রৌপদীর সফরকে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টই বলছেন বিরোধীরা।
অন্যদিকে, নিষিদ্ধ মাদক কোকেনের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে খ্যাত দ্রৌপদীর সফরে থাকায় তাল কাটলো বিজেপির। প্রসঙ্গত, বিগত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ আলিপুরে কোকেনসহ বিজেপি নেত্রী পামেলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পামেলার গাড়িতে পুলিশ ১০০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে। যার বাজারদর লক্ষাধিক টাকারও বেশি। একদা মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি নেত্রী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদীর পাশেই রয়েছে, এ নিয়ে নানান মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় বিরোধীদের পাশাপাশি বিজেপির একাংশও ক্ষুব্ধ।