অভিষেকের ফোনেই কেল্লাফতে, দোমোহনি হাটের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদ
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ফোনেই কেল্লাফতে। এবার দোমোহনি হাটের সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি। মঙ্গলবার ১২ জুলাই ধূপগুড়ির জনসভার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই ময়নাগুড়ির দোমোহনি হাটের পৌঁছে যান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দা ও হাটের ব্যবসায়ীদের মুখে হাটের নানান সমস্যার কথা শোনেন এবং তারপরই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে গোটা হাট ঘুরেও দেখেন অভিষেক।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, সকলেরই অভিযোগ কোনরকম সমস্যা সমাধানে জেলা পরিষদ কোন উদ্যোগই গ্রহণ করে না। এরপর হাটে দাঁড়িয়েই জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতিকে ফোন করেন অভিষেক। অভিষেকের ফোন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জেলাপরিষদের সভাধিপতি বাজার পরিদর্শন করেন। ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথাও বলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই দোমোহনি হাটের সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের কোন হেলদোলে নেই। তা জানতে পেরে আগামী দেড়মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়ে অভিষেক। অভিষেকের ফোন পাওয়ার পরেই বুধবার ১৩ জুলাই সকালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সভাধিপতি উত্তরা বর্মন। ব্যবসায়ীদের সমস্যা জানতে দোমোহনি হাটে ছুটে গিয়ে ছিলেন সভাধিপতি।
দোমোহনির বাসিন্দা থেকে শুরু ব্যবসায়ীরা, সকলেই অভিষেকের ভূমিকায় অত্যন্ত খুশি। তাদের বিশ্বাস এবার কাজ হবে। এবার হাট সংস্কার নিয়েও তারা আশাবাদী। জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন জানিয়েছেন, দোমোহনি হাটে নিকাশি ব্যবস্থা, রাস্তা, শৌচালয় ইত্যাদিসহ বেশ কিছু বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের টিনের শেড পুরনো হয়ে যাওয়ায় সেগুলির সংস্কার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সমস্যাগুলির সমাধান হবে বলেও জানিয়েছেন সভাধিপতি