সৌরভ ও জয় শাহের মেয়াদ বাড়াতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দারস্থ BCCI
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দারস্থ হল বিসিসিআই, সূত্রের খবর ৬টি নিয়মে বদল আনতে চাইছে ভারতীয় বোর্ড। ২০১৮ সালে লোঢা কমিটির সুপারিশ মোতাবেক বোর্ডের গঠনতন্ত্র নির্মাণ করা হয়েছে।
বর্তমানে বোর্ডের কোন পদে এক টানা ৬ বছর থাকার পরে সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীকে তিন বছরের বিশ্রামে যেতে হবে। ওই সময়কালকে বলা হয় কুলিং অফ। ওই ৩ বছর সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনরকম ক্রিকেট সংস্থায় পদাধিকারী হতে পারবেন না। সেই নিয়ম অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বরেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্রের খবর, সৌরভ ও জয় শাহকে পদে রেখে দেওয়ার উপায় খুঁজতে মরিয়া বোর্ডের অন্দরমহল।
২০১৯-এর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় বোর্ডের গঠনতন্ত্রের ৬টি সংশোধন আনার দাবি জানানো হয়েছিল। ৬টি দাবির অন্যতম হল বোর্ড কর্তাদের মেয়াদ বাড়ানো। একমাত্র সুপ্রিমকোর্ট নিয়মে পরিবর্তন আনতে পারে। সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হবে। এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত বোর্ডের আবেদন না মানলে, সৌরভ ও জয় শাহের মেয়াদ দুমাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৪ সাল থেকে সিএবি সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৯ সালে ভারতীয় বোর্ডে দায়িত্বে আসেন সৌরভ। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও, এখনও বোর্ডের আবেদনের উত্তর মেলেনি। সেই কারণেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সভাপতি পদে কাজ করে চলেছে তিনি। অন্যদিকে, ২০১৩ সাল থেকে গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার পদাধিকারী হিসেবে কাজ করছেন সচিব জয় শাহ। তিনিও মেয়াদ অতিক্রম করে কাজ করছেন। BCCI প্রেসিডেন্ট ও সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন নিয়েই মূলত আদালতের দারস্থ হয়েছে।