আমদানি-রপ্তানিতে বাড়ছে চীনা নির্ভরশীলতা, তবে কী চীনের নিয়ন্ত্রণে দেশের বাণিজ্য?
চীন ও ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা বারবার রক্তাক্ত হয়েছে, সীমান্ত সংঘর্ষ দেশের অনেক সন্তানের জীবন কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু দু-দেশের বাণিজ্যে এসব ঘটনা কোন দাগ কাটতেই পারেনি। সমীক্ষা, তথ্য পরিসংখ্যান সাফ বলছে দুদেশের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক বেশ ভালই। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চলতি বছরে দুইদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করতে চলছে। যদি তাই হয়, তবে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর ফের ভারত-চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেরিয়ে যেতে চলেছে।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ জুন অবধি চীনের সঙ্গে দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অর্থ দুই দেশের একে অপরের প্রতি নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়া। রাজনৈতিক উত্তাপ যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে দাঁত ফোটাতে পারেনি তা বলাইবাহুল্য।
চলতি বছরে চীন থেকে এদেশে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৭.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ৩৪.৫ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু ফিরতি বাণিজ্যে অর্থাৎ দেশ থেকে চীনে রপ্তানির পরিমাণ কমে ৯.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ঠেকেছে। যা ৩৫.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা দেশের জন্য অশনি সংকেত।
কোনভাবেই দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য তথা আর্থিক ব্যবস্থা ক্রমেই চীনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এই নির্ভরতাই বিপদ ডেকে আনছে। ভারতে চীনা পণ্যের আমদানির পরিমাণ যে মাত্রায় বাড়ছে, তাতে চীন ক্রমেই দেশের বাণিজ্যক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা অচিরেই তা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।