আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে তেলের দর, ফের বোঝা চাপবে আমজনতার কাঁধে?
ভারতে ক্রমেই বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দর। মোদী জমানায় জ্বালানির দর নিয়ে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের দিশাহীন নীতিই এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ। কোন সংখ্যাতত্ত্ব, কোনরকম হিসেবে পেট্রল-ডিজেলের দামের অঙ্ক মেলানো যায় না! আন্তর্জাতিক বাজারে যখন অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যায়, তখন সঙ্গত কারণেই দেশের সংস্থাগুলি তেলের দাম বাড়ায়। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হ্রাস পায়, তখন কিন্তু আর তেলের দাম কমে না। ফলে মোটা টাকা দিয়েই তেল কিনতে হয় আমজনতাকে। আর তার জেরেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি গ্যালনে ১০০ ডলারের গণ্ডি পেরোনোর আগেই দাম বাড়তে আরম্ভ করেছিল। এক সময় জ্বালানি তেলের দর ১৩৯ ডলারেও পৌঁছে গিয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই দফায় দফায় পেট্রল-ডিজেলের দর বেড়েছে।
কিন্তু তারপরেই কমতে শুরু করে দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিতা তেলের দাম কমতে কমতে জুন মাসে তা ১০০ ডলারের নীচে পৌঁছলেও, আদপে সুবিধা পায়নি দেশের সাধারণ মানুষ। বলা ভাল, মোদী সরকারের অধীনস্থ সংস্থাগুলি দাম কমার সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে দেয়নি। মূল্যবৃদ্ধির বোঝায় নাজেহাল আমজনতার উপর খাড়ার ঘা মারতে পুনরায় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চেপেই চলছে।
অন্যদিকে অপরিশোধিত তেলের দাম ফের বাড়ার পথে। দেশের তেল সংস্থাগুলি আবারও দাম বাড়াতে চাইছে। দাম বাড়ানোর আবেদন করা হবে, বলেও শোনা যাচ্ছে। কেবল মোদী সরকারের এক ইশারার অপেক্ষা। মোদী সরকারের সবুজ সঙ্কেত মিললেই দাম বাড়বে পেট্রল-ডিজেলের। বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয়দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধীরা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান।