বাংলায় তাপবিদ্যুৎ, অপ্রচলিতবিদ্যুৎ উৎপাদনে রাজ্যে আসছে ৩০ হাজার কোটির লগ্নি
রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর। বাংলায় উৎপাদন বাড়াতে চলেছে ডিভিসি। শোনা যাচ্ছে, রাজ্যে ২,১০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে চলেছে ডিভিসি। ওই খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে। অপ্রচলিত বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতেও বাংলায় তৈরি হতে চলেছে নতুন প্রকল্প। ৬০০ মেগাওয়াটের পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প গড়ে উঠতে চলেছে পাঞ্চেতে। পাঞ্চেতে জলাধারে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা চলছে। অনুমোদন পাওয়ার আবেদনও করা হচ্ছে। অপ্রচলিত ক্ষেত্রে একহাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে।
বাংলায় ডিভিসির মোট চারটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চারহাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৬০০ মেগাওয়াটের ২ ইউনিট রয়েছে, সেখানকার চেয়ারম্যান আর এন সিংহ জানিয়েছেন রঘুনাথপুরে আরও দুটি ৬৬০ মেগাওয়াটের ইউনিট তৈরি হবে। দুর্গাপুরে ৮০০ মেগাওয়াটের আরেকটি ইউনিট তৈরি করা হবে।
ডিভিসি; মাইথনসহ পাঞ্চেত, তিলাইয়া এবং কোনার জলাধারে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল স্থাপন করে ২,০০০ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জলাধারে ৩০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল বসাবে ডিভিসি। এছাড়াও পরিবেশবান্ধব গ্রিন হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপাদনের উদ্যোগ নিচ্ছে ডিভিসি। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিদিন ১০০ টন করে গ্রিন হাইড্রোজেন জ্বালানি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। ওই গ্রিন হাইড্রোজেন প্রধানতঃ শিল্প ও পরিবহণের কাজে ব্যবহার করা হবে।
বর্তমানে ডিভিসি ৬৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করে, যার অধিকাংশই তাপবিদ্যুৎ। ডিভিসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে তারা উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনেই ৩০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হবে।