একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দলবদলের ভয়-শঙ্কায় প্রমাদ গুনছে গেরুয়া শিবির
একুশে জুলাই শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল কিন্তু ভয়-শঙ্কায় প্রমাদ গুনছে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ২০০ আসন জিতে ক্ষমতায় আসার কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। একের পর এক নেতা জোড়াফুল শিবির ছেড়ে পদ্মে নাম লিখিয়েছিলেন। জায়গায় জায়গায় যোগদান মেলার আয়োজন করেছিল বিজেপি। কিন্তু একুশে পরাজয়ে শুরু হয় উলোট পুরানের পালা। দলবদলের পাশা খেলায় বিজেপি এখন বিপন্ন। একের পর এক বিজেপি নেতা দল বদলাচ্ছে। কর্মী-সমর্থকেরাও জোড়াফুলে নাম লেখাচ্ছেন। বিজেপির রক্তক্ষয় চলছেই। কে কখন কোথায় গিয়ে দল বদলে ফেলবেন তা ধরতে পারছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপির কপালে চিন্তার ঘাম বাড়িয়েছে তৃণমূলের শহিদ দিবস। এদিন কি ফের দলবদল দেখবে বাংলা?
একুশের মঞ্চেই অপেক্ষা করছে বড় চমক, দুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একথা বলেছিলেন। তাতেই বেড়েছে জল্পনা। তবে কি বিজেপির জন্য আরও বড় ভাঙন অপেক্ষা করছে? এবার কার পালা? সেই প্রশ্নে ভয়ে কাঁটা বিজেপি!
কদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। সেই ক্ষত এখনও দগদগে। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির আরও কয়েকজন প্রথমসারির নেতা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে এসেছেন, তৃণমূল দরজা খুলে রাখলে, বাংলা থেকে বিজেপিই উঠে যাবে। তাই গেরুয়া নেতাদের উদ্বেগ বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, একুশে জুলাই শহিদ স্মরণের মঞ্চে প্রতিবছরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষেরা তৃণমূলে যোগদান করেন। গত দুই বছর করোনার কারণে ধর্মতলায় সমাবেশ হয়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচন জয় এবং দুবছর পরের সমাবেশ হওয়ার কারণে রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর সংলগ্ন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রসহ কলকাতার একাধিক জায়গায় জেলা থেকে আগত কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মীদের থাকা-খাওয়ার জায়গাগুলি ১৯ জুলাই পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সভাস্থল।