ডলারের দর ও আমদানি শুল্কের জোড়াফলায় বাড়তে চলেছে চিকিৎসার খরচ
ডলার প্রতি টাকার দর ইতিমধ্যেই ৮০ টাকার গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। ভেঙে গিয়েছে সর্বকালীন রেকর্ড। দেশের মূল্যবৃদ্ধির উপর ক্রমেই ঘনিভূত হচ্ছে মেঘ। ডলার-টাকার দরের দৌলতে চরমে উঠতে পারে মূল্যবৃদ্ধি। বাড়তে পারে চিকিৎসার খরচ। কিন্তু নিরুত্তর মোদী সরকার। মোদী সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য ডলার ও টাকার ফারাকের কোন প্রভাবই নাকি সাধারণ মানুষের উপর পড়বে না।
ডলারের দর সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তি বোঝা হয়ে চেপেছে আমদানির খরচ। বিভিন্ন পণ্যের আমদানি খরচ বাড়ছে, তালিকায় ওষুধ উৎপাদনের বিভিন্ন কাঁচামালও রয়েছে। দেশে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ওষুধ তৈরির কাঁচামাল বা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট বিদেশ থেকে আসে। এছাড়াও রাসায়নিক ও কাঁচামাল মিলিয়ে বছরে গড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয়। সব মিলিয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকার এপিআই ও অন্য কাঁচামাল আমদানি করে ভারত।
এই কাঁচামালের অধিকাংশই আসে চীন থেকে, ডলারে যার দাম দিতে হয়। বিগত দেড় বছরে চীন এবং অন্যান্য দেশের শুল্ক ও বিদ্যুতের মাশুল বাড়ায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানির খরচও বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওষুধের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটতে চলছে ওষুধ সংগঠনগুলো।
চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আদপে ফের মধ্যবিত্তের কাঁধেই বোঝা চাপতে চলেছে। ফলে চিকিৎসার খরচও বাড়ার সম্ভাবনা উদয় হয়েছে। টাকা ও ডলারের ফারাক বাড়তে থাকলে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে তার প্রভাব পড়বেই। মেডিক্যাল যন্ত্রপাতির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিল দিতে রোগীদের পকেটে টান পড়বেই। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা চিকিৎসার খরচ বাড়া কেবল সময়ের অপেক্ষা।