মানুষের দুর্দশার কথা তুলে মোদী সরকারকে শহীদ মঞ্চ থেকে আক্রমণ করলেন মমতা
বেশ কিছু পণ্যের উপর থেকে কর ছাড়ের সুবিধা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিগোষ্ঠী। জিএসটি পরিষদ তার অনেকগুলিতেই সায় দিয়েছে সম্প্রতি। মাছ, মাংস (বরফে রাখা বাদে), দই, পনির, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ির মতো গোড়া থেকেই প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে বসানো হয়েছে ৫ শাতাংশ জিএসটি। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাঙ্কগুলি যে ফি নেয়, তাতেও মেটাতে হবে ১৮ শতাংশ কর। চড়া করের আওতায় ঢুকছে হোটেলের হাজার টাকার কম দামি ঘর এবং ব্যাঙ্কের চেকবই-ও।
এমনিতেই সাধারণ মানুষ খাদ্যপণ্য, জ্বালানি-সহ সব কিছুর বর্ধিত দামে বিপর্যস্ত। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতে এই মূল্যবৃদ্ধিকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে মুড়ি চাইলেন তৃণমূল নেত্রী। এর পরই মমতার প্রশ্ন, বিজেপি’র নেতারা মুড়ি খাবেন না কি? মমতা অভিযোগ করেন, রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও জিএসটি দিতে হচ্ছে। বলেন, ‘‘আমার প্রশ্ন, মারা যেতে কত জিএসটি দিতে হবে!’’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল নিশানা ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের মোদী সরকার বিরোধী লাড়াইকে আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, দেশের মানুষের চাকরি নেই। বেকারত্ব লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। গরিব মানুষ গত সাত মাস ধরে কাজ করে টাকা পাচ্ছে না। আরও কত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন হকের টাকা বন্ধ করে দিলেন? ভোটে হেরেছেন বলে ভাতে মারার চেষ্টা করবেন? ১০০ দিনের কাজের টাকা যদি না দেয় বিজেপি সরকার, দিল্লি গিয়ে ঘেরাও করার হুমকি দেন তৃণমূল নেত্রী।