বাইরে থেকে নেতা আমদানি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের! বঙ্গ বিজেপি চালাবে বহিরাগত
বঙ্গ বিজেপির নেতারা ক্রমেই দিল্লির নেতাদের আস্থা-বিশ্বাস-ভরসা হারাচ্ছে। এবার বাংলা বিজেপির নেতাদের উপরে বস বসাতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতারা। বঙ্গ বিজেপির কোন্দল নিয়ে দিশেহারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কৈলাস বিজয়বর্গীয় রিপোর্ট নিয়েও বিজেপির অন্দরে গোল বেধেছিল। বাংলার বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, বাংলাকে না বুঝেই কৈলাস রিপোর্ট দিয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই ভুল বিশ্লেষণের মাশুল দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
ভরাডুবির পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ মাস। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে ক্রমশ বাংলা থেকে জমি হারিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা-কর্মীরা দল বদলেছেন। যত সময় গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির ফাটল তত চওড়া হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে কাঠগোড়ায় তুলেছেন দলের একাংশ। এবার ময়দানে নামল দিল্লি বিজেপি।
রাজ্যকে চালাতে ভিন রাজ্য থেকে নেতা আমদানি করল দিল্লির নেতারা। বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি জারি করে, বঙ্গ বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সঙ্ঘ প্রচারক তথা কন্নড় বিজেপি নেতা সতীশ ধোন্ডকে বসালেন নাড্ডা। এবার থেকে বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে যুগ্মভাবে বাংলায় বিজেপির সংগঠনের কাজ সামলাবেন সতীশ ধোন্ড।
নিজেদের মুখ রাখতে রাজ্য বিজেপির নেতাদের একাংশ অবশ্য বিষয়টিকে লঘু করে দিতে চাইছেন। কিন্তু বাংলায় বিজেপির দৈন্যদশা নিয়ে ক্ষুব্ধ দিল্লি। রাজ্যে গেরুয়া শিবির বিপর্যস্ত। সাংগঠনিক দুর্বলতা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কোন্দল সব মিলিয়েই প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে বিজেপি। দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে অপসারণের দাবি করে আসছে বহুদিন ধরেই। নাড্ডা,শাহদের কাছে দফায় দফায় নালিশ করা হয়েছে। হয়ত সেই কারণেই বাইরে থেকে নেতা আনা হল, এমনটাই বলছেন বঙ্গ বিজেপির একাংশ। দলের অন্দরেই কথা উঠছে তবে কি বাইরে থেকে আসা নেতাই এ রাজ্যে বিজেপি চালাবেন?