পছন্দ নন শিন্দে, মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতির মন্তব্যে সংশয়ে নয়া সরকারের ভবিষ্যৎ
সদ্যই ভূমিষ্ঠ হয়েছে শিন্দে-ফড়ণবিশের সরকার। কিন্তু সূচনালগ্নেই ধাক্কা খেল মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার। প্রবল অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও একনাথ শিন্দেকে বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি? এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন মহারাষ্ট্র বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল। চন্দ্রকান্ত পাতিলের দাবি, মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্যেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু চন্দ্রকান্ত পাতিলের এহেন মন্তব্যে মহারাষ্ট্র সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েও অশনি সংকেত দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এরপর মহারাষ্ট্রের নবগঠিত শিন্দে-ফড়ণবিশ সরকারের স্থায়িত্ব বিরাট বড় প্রশ্ন চিহ্নের সামনে এসে দাঁড়াল।
উদ্ধব সরকারের পতনের পরে, অনেকেই ভেবেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশই ফের রাজ্য চালাবেন। কিন্তু ভোট পাটিগণিত বজায় রাখতে, একনাথ শিন্দেকে গদিতে বসায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তখন থেকেই অসন্তোষের পাহাড় জমতে শুরু হয়। চন্দ্রকান্ত পাতিলের মন্তব্যে স্পষ্ট আসন্তোষ আর ক্ষোভ মহীরুহতে পরিণত হয়েছে।
মহারাষ্ট্র বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিলের কথায়, ভারাক্রান্ত মনে তারা শিন্দেকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। তবে কি শিন্দেকে না-পসন্দ নাকি আরও কোন জাল বুনছে মহরাষ্ট্র বিজেপি? আবারও কি সরকারের অপমৃত্যু দেখবে মহারাষ্ট্রবাসী? চন্দ্রকান্ত পাতিলের বক্তব্যে পরিষ্কার তারা বিষ গেলার মতো করেই শিন্দেকে হজম করেছেন। কিন্তু তার সাম্প্রতিক মন্তব্য কি শিন্দে সরকারের পতনের কাউন্টডাউন শুরু দিল? উত্তরের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশের।