স্বাস্থ্যখাতে চার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রাজ্যে
চিকিৎসার জন্য কথায় কথায় গ্রামে থেকে শহরে ছুটে যাওয়ার দিন শেষ। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বিপ্লব আসতে চলেছে রাজ্যে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এবার থেকে গ্রামেই মিলবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা।
নবান্ন সূত্রে খবর, গ্রাম বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি সাধনের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে আনুমানিক ৪০০০ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে রাজ্যে। ব্লকে ব্লকে নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়া হবে। গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ডায়গনিস্টিক পরীক্ষার সুবিধা মিলবে। ফলে মনে করা হচ্ছে, একদিকে যেমন, শহর ও জেলা সদরের বড় সরকারি হাসপাতালগুলোর চাপ কমবে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে।
বাংলার স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই যা খরচ করতে হবে। প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা বরাদ্দ করা হবে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন কাজকে অগ্রাধিকার পাবে, পঞ্চায়েত ও পৌরসভার সঙ্গে কথা বলে তা ঠিক করবে স্বাস্থ্য দপ্তর। গ্রামাঞ্চলের সাব হেলথ সেন্টার এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরিত করা হবে, বলেও জানা গিয়েছে। হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার নির্মাণের জন্যে দরপত্রের আহ্বানও শুরু হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছে, যেখানে ঘাটতি রয়েছে, সেখানেই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলছে রাজ্য। রাজ্যের উদ্যোগেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কাঠামোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে রাজ্য সরকার বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। প্রসঙ্গত, মোট বরাদ্দ করা হচ্ছে ৪৪০২ কোটি টাকা। আর্বান হেলথ ওয়েলনেস সেন্টার তৈরিতে বরাদ্দ ১৫২৮ টাকা এবং সাব-সেন্টার, প্রাইমারি হেলথ সেন্টার, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার নির্মাণে বরাদ্দ ২৬০ কোটি।