আদৌ থাকবে তো শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ? উত্তর মিলবে ২৮ জুলাই
শিশির অধিকারী কার? তৃণমূলের নাকি বিজেপির? এই প্রশ্নে জবাব জনতার কাছে হয়ত আছে। কিন্তু সংসদে আজও তিনি জোড়াফুলের প্রতিনিধি। নিষ্পত্তি করতে উদ্যোগী সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটি, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ চূড়ান্ত হওয়ার সময় আগত। ২৮ জুলাই সংসদের প্রিভিলেজ কমিটিতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এই মর্মে গত ২১ জুলাই তারিখে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছে লোকসভার সচিবালয়। ওই দিন শুনানির সময় হাজির থেকে সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করতে বলা হয়েছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেদিন তিনি উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের পতাকা ধরেন শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে। এরপর থেকেই দিন যত এগিয়েছে কাঁথির অধিকারী বাড়ির সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েছে। একুশের বিধানসভা ভোটের প্রাককালে শিশির অধিকারীও অমিত শাহের সভামঞ্চে উপস্থিত হন। শুভেন্দুকে জেতানোর আবেদন করেছিলেন শিশির। কিন্তু প্রকাশ্যে দল বদলের কথা বলেননি শিশির। বিধানসভা নির্বাচনের পরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করে, শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেন সুদীপ।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এই শুনানি। এর আগে এই বিষয়ে একাধিক শুনানি হওয়ার কথা ঠিক হয়েছিল, কিন্তু কোনটাতেই হাজির ছিলেন না শিশির। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন শিশির। শুনানি হয়নি। আগামী শুনানিতে শিশির উপস্থিত থাকবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তার তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পেলেই আমরা তা প্রকাশ করব।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন শিশিরবাবু। সেই সময় তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, তিনি কোন দলের পতাকা হাতে নেননি। তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, তিনি তৃণমূলেই থাকবেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দ্রৌপদী মুর্মু ভাল প্রার্থী। যোগ্য প্রার্থী। তবে দল যাঁকে বলেছেন তাঁকেই ভোট দিয়েছি। নেত্রীর নির্দেশমতো ভোট দিয়েছি। ক্রমশ জটিল হচ্ছে দলবদল নাটকের অঙ্ক।
২৮ জুলাই সংসদের প্রিভিলেজ কমিটিতেই সম্ভবত সেই নাটকের যবনিকা পড়তে চলেছে। সেখানেই হয়ত চূড়ান্ত হতে চলেছে শিশির অধিকারীর ভবিষ্যৎ।