মোদী আমলে ৮ বছরে ৭ লক্ষ নিয়োগ, ১৬ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি কি নিছক মিথ্যাচার?
মোদী প্রধানমন্ত্রী হলেই বছরে মিলবে ২ কোটি চাকরি, জুমলা আর মোদী সরকার ও তার দল বিজেপি আজ সমার্থক। বছরে দু-কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। ২০১৪ থেকে আজ ২০২২; এই ৮ বছরে মোদীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ১৬ কোটি চাকরি হওয়ার কথা। কিন্তু তথ্য বলছে অন্য কথা, মোদী জমানায় দেশজুড়ে ৮ বছরে মোটে ৭ লক্ষ ২২ হাজার কেন্দ্র সরকারি চাকরি হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের অধীনে ১৬ কোটি পদই নেই! তবে কি মসনদ আরোহনের জন্যে কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে হাতিয়ার করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদী সরকার? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৪২৩ নিয়োগ হয়েছিল। পরের অর্থবর্ষে ২০১৫-১৬ আর্থিক সালে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৮০৭ নিয়োগ হয়। ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে যথাক্রমে ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৩৩ এবং ৭৬ হাজার ১৪৭ জনের চাকরি হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ সালে সংখ্যাটা নেমে ৩৮ হাজার ১০০-তে। ২০১৯- ২০ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার জনের নিয়োগ হয়। সব মিলিয়ে মোদী আমলের ৮ বছরে মাত্র ৭ লক্ষ ২২ হাজার চাকরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোদী সরকারের বিভিন্ন দপ্তর মিলিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। বুধবার ২৭ জুলাই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড ট্রাইবসের শূন্যপদের সংখ্যা জানতে চেয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেন। জবাবে মোদী সরকারের মন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু জানিয়েছেন, ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড ট্রাইবসে মোট ১২৪টি পদ রয়েছে। যার মধ্যে শূন্য পদের সংখ্যা ৭৫।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ১০ লক্ষ শূন্য পদে চাকরি হবে বলে জানিয়েছিলেন মোদী, কিন্তু তারপরেই সেনাবাহিনীতে অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। অগ্নিপথের আওতায় নিয়োগ শুরু হলেও এই প্রকল্প নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। দেশজুড়ে অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভ আন্দোলন আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। মোদী আমলে ক্রমেই বাড়ছে বেকারত্ব, সরকারও চাকরি দিতে ব্যর্থ। ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে মোদী সরকারের অপদার্থতা।