উপভোক্তা দপ্তরের নাম ভাঙিয়েই চলছে প্রতারণা, গ্রাহকদের সতর্ক থাকার নিদান দপ্তরের
উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের নাম নিয়েই জাঁকিয়ে বসেছে নয়া প্রতারণা চক্র। পরিষেবা পাচ্ছেন না, টাকা ফেরত চাই, ইত্যাদি নানান সমস্যার সমাধানের টোপ দিয়েই গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের বলে পরিচয় দিয়েই প্রতারকরা সাধারণ মানুষদের ফোন করছে। তারপরেই সমাধান করে দেওয়ার নামে টাকা চাইছে তারা। প্রতারণার ফাঁদ থেকে সাধারণ মানুষদের রক্ষা করতে, ইতিমধ্যেই উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার কথায়, উপভোক্তা দপ্তরের নামে প্রতারণা চলছে, সেই খবর কয়েকটি জেলা থেকে তারা পেয়েছেন। এই মুহূর্তে তারা মানুষকে সচেতন করছেন। লোক ঠকানোর এই ব্যবসা বন্ধ করার জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পুলিশ ও উপভোক্তা দপ্তর তরফে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় থেকেই সাইবার প্রতারণার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন উপায়ে প্রতারকেরা সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছেন। গ্রাহকেরা কোনরকম বিপদে পড়লে, উদ্ধার পাওয়ার জন্যে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের দ্বারস্থ হন। মানুষ উপকৃতও হন। ফলে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের উপরে জনসাধারণের ভরসা রয়েছে। এই ভরসাকেই হাতিয়ার বানিয়েছে প্রতারক দলগুলো।
দপ্তরের নাম ব্যবহার করে বা উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফোন করছেন প্রতারকরা। তারপর নানান প্রশ্ন করা হচ্ছে, জমানো টাকা ফেরত পাচ্ছেন না? কোন বিমা করা আছে কি? থাকলে, কোথায় রয়েছে বিমা? বিমা করে সমস্যায় পড়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। টাকা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার টোপ দিয়েই টাকা দাবি করছে প্রতারকরা। সাধারণত বয়স্ক মানুষদের টার্গেট করা হচ্ছে। তাদের বিমা ও সঞ্চয় সংক্রান্ত গোপন তথ্যও হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা।
প্রতারণা চক্র সামনে আসতেই, সজাগ উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর। সচেতনতা বাড়াতে শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে বড় বড় হোডিং লাগানো হয়েছে। উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানতে চেয়ে যে কখনও ফোন করা হয় না তাও জানানো হচ্ছে। এমন ফোন আসলে কোন তথ্য দেওয়া যাবে না, এবং দ্রুত পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তা জানানোর আর্জি জানাচ্ছে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর। সাধারণ মানুষকে প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা না দেওয়া আবেদন জানিয়েছে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর।