মহারাষ্ট্রের পর কি ঝাড়খণ্ড? সরকার ফেলতে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে বিজেপি
আরও এক অবিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের অকাল মৃত্যু দেখবে দেশ? মহারাষ্ট্রের পর এবার গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য কি ঝাড়খণ্ড? সরকার ভাঙার ষড়যন্ত্র ইতিমধ্যেই কি আরম্ভ হয়ে গিয়েছে? ইঙ্গিত মিলছে এমনটাই! শনিবার ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় হাওড়ার রানিহাটিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ঝাড়খণ্ডের একটি গাড়িকে আটক করে। ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক, জামতাড়ার ইরফান আনসারি, খিজরির রাজেশ কছপ এবং কোলেবিরার নমন বিক্সল কোঙ্গারি ওই সময় গাড়িতে সওয়ার ছিলেন। ওই গাড়ি থেকেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এ রাজ্যের পুলিশ। এতেই দেশজুড়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, হেমন্ত সোরেনের সরকার ফেলার জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। প্রতিবেশী রাজ্যের সরকার ফেলতে ইতিমধ্যেই জোর তৎপরতা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। জল্পনা চলছে, হেমন্ত সোরেনের দলের সঙ্গে জোটে থাকা কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চলেছেন। বলাইবাহুল্য, এই গজিয়ে ওঠা বিদ্রোহের নেপথ্যে বিজেপির মদত থাকবে। রানিহাটিতে যে টাকা ধরা পড়ল, তা কি বিধায়ক কেনার টাকা? অর্থাৎ বিক্রি হয়ে ফিরছিলেন হাতের বিধায়কেরা? এমন জল্পনা চলছে রাত থেকেই।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সঙ্গে সিআইডি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এ বিষয়ে সরব হয়েছে।
হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়ার কথায়, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন একটি কালো রঙের গাড়িতে করে ঝাড়খণ্ডে টাকা পাচার করা হচ্ছে। সে গাড়িটি আটক করা হয়েছে তাতে এমএলএ, জামতাড়া, ঝাড়খণ্ড লেখা বোর্ড লাগানো ছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুটি ব্যাগ মিলিয়ে ৫০০ টাকার বান্ডিলে তিন কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বিধায়কেরাসহ গাড়িতে মোট পাঁচ জন ছিলেন।
ঝাড়খণ্ডের শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তার সাফ অভিযোগ, বিজেপি ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেরার ষড়যন্ত্র করছে, এই টাকা উদ্ধার সেই ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। ওই বিধায়কেরা বিজেপির এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাই তারা টাকা পেয়েছেন। অন্যদিকে, দলের সঙ্গে টাকার সম্পর্ক নেই বলে দায় এড়িয়েছে হাত শিবির।