মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু কলকাতা পুরসভার, বাড়ি বাড়ি নজরদারিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা
করোনার মধ্যেই দেখা দিয়েছে আরও এক সংক্রমণ, নয়া আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স। এবার এই মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে আমজানতার সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় কোথাও মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ নিয়ে কোন রোগী আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে বাড়ি বাড়ি যাবেন পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা। মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় চিকিৎসকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে স্বাস্থ্যভবন।
এখনও করোনা মুক্ত হয়নি বিশ্ব। এর মধ্যেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে মাঙ্কিপক্স। ইতিমধ্যেই ভারতেও আঁচড় কেটেছে নয়া ভাইরাসটি। দেশে ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্সের কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই মৃত ব্যক্তি কেরলের বাসিন্দা ছিলেন। রাজস্থানেও একজনের শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তবে পূর্ব ভারতে এখনও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জানা যায়নি।
মাঙ্কিপক্সের আক্রমণ ঠেকাতে আগে থেকেই সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, অন্যদিকে বর্ষায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থাকে। এই পরিস্থিতিতে যাতে নতুন করে আরও একটি সংক্রামক রোগ মাথাচাড়া দিতে না পারে, তাই উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে রাজ্য। মাঙ্কিপক্সকে গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা পুরসভাও। রোগ মোকাবিলায় কোন খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন।
রাজ্য অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা পল্লব ভট্টাচার্য, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ও পুরসভা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে মাঙ্কিপক্স নিয়ে ১ আগস্ট পুরসভায় জরুরি বৈঠক হয়। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কথায়, বর্তমানে কলকাতায় মাঙ্কিপক্সের কোন খবর নেই। তবুও তারা সচেতন থাকছেন। জ্বর, গায়ে র্যাশ, ফোসকা ইত্যাদি কোনরকম উপসর্গ থাকলেই, পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে যোগাযোগ করার নিদান দেওয়া হচ্ছে।
ডেপুটি মেয়র জানান, স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ধরনের উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিহ্নিত করবেন। ডেপুটি মেয়রের কথানুযায়ী, বিষেশজ্ঞদের মতে মাঙ্কিপক্স করোনার মতো শক্তিশালী নয়। তাই মাঙ্কিপক্স নিয়ে শহরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনার প্রকোপও নেই। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৪৪টি ওয়ার্ডে মাইকিং, হোর্ডিং দিয়ে প্রচার করা হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কর্মশালার মাধ্যমে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবে বলেও জানা যাচ্ছে। খবর মিলেছে, ৩ আগস্ট বুধবার স্বাস্থ্যভবনে সমস্ত পুরসভাকে ডাকা হয়েছে। ১৬টি বরোর চিকিৎসকদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।