বাবুল তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যটনে, শিল্পে শশী, মমতার মন্ত্রিসভায় আর যাঁরা দায়িত্ব পেলেন
বুধবার ৯ মন্ত্রীর শপথগ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দপ্তর বন্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখে স্পষ্ট সংগঠনের মতো মন্ত্রীসভায়ও বড় ধরনের রদবদল ঘটিয়ে একটা ঝাঁকুনি দেওয়ার চেষ্টা করল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন বিকেলে নতুন মন্ত্রীদের শপথের পর সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, নতুন শিল্পমন্ত্রী হচ্ছেন শশী পাঁজা। এতদিন তিনি শুধু মহিলা ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন শশী। তাঁর সেই দায়িত্বের পাশাপাশি তাঁকে শিল্প ও শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের ভারও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সবার নজর ছিল বাবুল সুপ্রিয়র উপর। তাঁকে পর্যটন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী করেছেন মমতা। পঞ্চায়েত ও গ্রমোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারকে।
এবার ববি হাকিমের দায়িত্ব কিছুটা কমল। এখন পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। আবার অরূপ বিশ্বাসের দায়িত্ব কিছুটা বাড়ল। এতদিন বিদ্যুৎ এবং ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তর সামলাচ্ছিলেন তিনি। এবার তাঁকে আবাসন দপ্তরের দায়িত্বও দেওয়া হল।
নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁকে সেচ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতদিন এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সৌমেন মহাপাত্র। আবার দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী করা হয়েছে। পুলক রায়কে দেওয়া হয়েছে পূর্ত দপ্তরের দায়িত্ব। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পাশাপাশি এখন থেকে পূর্ত দপ্তরের দায়িত্বও সামলাবেন তিনি।
দলের প্রবীণ নেতা প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে পরিষদীয় মন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। এই পদটি এক সময় সামলাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কৃষি দপ্তরের পাশাপাশি পরিষদীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলাবেন শোভনদেব। দায়িত্ব বেড়েছে মানস ভুইঞাঁর। জল সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পাশাপাশি এখন পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্বও সামলাতে দেখা যাবে তাঁকে।