ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে যোগীরাজ্যেই গ্রেপ্তার দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষ!
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হিসেবে প্রধাণমন্ত্রী যখন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ চালু করে সামাজিক মাধ্যমে ডিপি বদলাবার আর্জি রাখছেন, সে সময়েই বেরোল দেশের এক লজ্জাজনক চিত্র। সংসদে পেশ হওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে ডবল ইঞ্জিনের যোগীরাজ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষ। উত্তরপ্রদেশে ৬২৮ জনকে গত তিন বছরে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে।
যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক এনকাউন্টারের ঘটনা সামনে এসেছে সে রাজ্যে। এবার সংসদে পেশ হওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে সে রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থার কথাও।
সংসদের তথ্য বলছে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬১৩ জনকে। তৃতীয় সর্বোচ্চ গ্রেপ্তারের তালিকায় বাম-শাসিত কেরল। সেখানে গত তিন বছরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৫২ জনকে। চতুর্থ স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ, সেখানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৮৭ জন।
এই তথ্য তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পেশ করা হয়। গোটা দেশে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট। এর মধ্যে, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৭১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয় ১ হাজার ৩১৫ জনকে। ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করা হয় ১ হাজার ৭৬৩ জন। মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য পেশ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের মামলায় উত্তর-পূর্বের রাজ্যে গ্রেপ্তারির হার কম, বলছে এই রিপোর্ট। ২০১৮-২০, এই সময়ে ভাবাবেগে আঘাতের মামলায় মণিপুরে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পশ্চিমে, গোয়ায় এই তিন বছরে মাত্র দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই তিন বছরে এই ব্যাপারে জম্মু-কাশ্মীরে গ্রেপ্তার করা হয় ৩৪ জনকে এবং দিল্লিতে ৩১ জনকে।
লাদাখ, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপ ও চণ্ডীগড় থেকে এই তিন বছরে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের মামলায়, বলছে রিপোর্ট ।