যৌথ আন্দোলন নয়, এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চলতে চাইছে আলিমুদ্দিন
জনসমর্থন হারিয়ে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া কংগ্রেসের সঙ্গে কি দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে আলিমুদ্দিন? এই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে। অবশ্য এই বিষয়টা নতুন নয়। দীর্ঘ সময় ধরেই বাম শিবিরের অন্দরে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব কাজ করছে।
সম্প্রতি চাকরি প্রার্থীদের সমর্থনে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াতে সিপিএমকে যৌথ আন্দোলনের প্রস্তাব দিয়েছিল কংগ্রেস। প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। সেই প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে সায়ও দিয়েছিলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কিন্তু কংগ্রেসের সেই প্রস্তাবে সায় জানালেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব?
নিয়োগ দুর্নীতির মতো গরম ইস্যুতে কলকাতায় তিনটি বড় মিছিল করেছে বামেরা। তাছাড়া, সিপিএমও একাধিক কর্মসূচি নিচ্ছে একই ইস্যুতে। অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনী সমঝোতা ছাড়া বাংলায় অন্যান্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে জোটে এই মুহূর্তে আগ্রহী নয় আলিমুদ্দিন। উল্লেখযোগ্য, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ‘‘ভোট শেষ। জোট শেষ।’’
সিপিএম-এর একাংশের মতে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় কোনও সাফল্য আসেনি। পাশাপাশি বাম শিরিক ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপির নেতারা মনে করছেন, বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসের উপর নির্ভরশীলতা বন্ধ করা উচিত। কারণ, নানা রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া কংগ্রেসকে মানুষ আর গ্রহণ করছে না। শুধু তাই নয় এসএউসিআই, সিপিআই (এমএল) লিবারশনের মতো বাম দলগুলিও কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোটের প্রবল বিরোধী। ফলে কংগ্রেস এবং সিপিআইমকে যৌথ আন্দোলনের মঞ্চে এখনই দেখা যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছে না রাজনৈতিক মহল।