আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে সায় নেই সঙ্ঘ পরিবারের? বদলালোনা ডিপি?
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। ২০২৪ এর ভোট। তার আগেই দেশজুড়ে জাতীয়তাবাদী হাওয়া তুলতে আসন্ন স্বাধীনতা দিবসকে ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী, এরকম মনে করছেন অনেকেই। এবার মোদীর মন্ত্র ‘হর ঘর তেরঙ্গা’। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশবাসীকে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে (ডিপি) জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদী। ডিপি বদলে ফেলেছেন বিজেপির কর্তা-ব্যক্তি থেকে সংগঠনের প্রায় সকলেই।
কিন্তু দেখ গেল, বৃহস্পতিবার সকাল অবধিও, যখন এই প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে, বিজেপির আদর্শবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) মোদীর আহবানে সাড়া দেয়নি। সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত ও আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে তেরঙ্গার ছবি দেখা যায়নি। বিষয়টি বিরোধীদের নজরে আসতেই খোঁচা দিতে শুরু করেছেনা তারা।
আরএসএস-কে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা টুইটারে লিখেছেন, ‘এবার তো সঙ্ঘপ্রেমীরা তেরঙ্গাকে আপন করে নিন।’ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ লিখেছেন, ‘পতাকা হাতে আমাদের নেতা জওহরলাল নেহরুর ছবি ডিপি করেছি। কিন্তু, দেখে মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পরিবারের কাছেই পৌঁছয়নি। যাঁরা ৫২ বছর ধরে নাগপুরের সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা তোলেননি, তাঁরা কি প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনবেন?’
কংগ্রেস ছাড়াও সঙ্ঘকে খোঁচা দিয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি প্রধান ওয়াই এস আর রেড্ডি। দক্ষিণী রাজ্যের এই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আরএসএস ৫২ বছর জাতীয় পতাকা ধরেনি এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত তা তোলেনি। আর এখন হর ঘর তেরঙ্গার নামে আরএসএস ও বিজেপি দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবাদের নামে ভাষণ দিচ্ছে। বিজেপিকে ধিক্কার!’
তবে আরএসএস ডিপি না বদলালেও মনমোহন বৈদ্য, অরুণ কুমার ও সুনীল আম্বেদকরের মতো সঙ্ঘ নেতা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টের ডিপিতে দিয়েছেন তেরঙ্গার ছবি।