নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে সরব উত্তরপূর্বের ছাত্র সংগঠন
এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে সরব নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গনাইজেশন। নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গনাইজেশনের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সাম্প্রদায়িক এবং তাদের মতে, নাগরিকত্ব আইন চালু হলে সমস্যায় পড়বেন উত্তরপূর্বের ভূমিপুত্ররা।
মোদী সরকারের দাবি, করোনা বুস্টার প্রদান কর্মসূচি শেষ হলেই নাগরিকত্ব আইন লাগু করা হবে। তারপরেই উত্তরপূর্বের সব রাজ্যের প্রায় সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাই গুয়াহাটিতে বৈঠকে বসেছিলেন।
নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গনাইজেশনের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল বি জাইরওয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, তারা সিএএ মানবেন না। তাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আসু ও অন্যান্যরাও এ বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছে। যদিও ২০২০ সালের পর থেকে কোন শুনানি হয়নি। নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গনাইজেশনের উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্যের কথায়, নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। সমুজ্জ্বল বাবুর কথায়, ইনার লাইন পারমিট ও ষষ্ঠ তফশিলের আওতাধীন রাজ্যগুলিরক্ষেত্রে সিএএ লাগু হবে না বলেই জানিয়েছিল মোদী সরকার। অসম ও ত্রিপুরায় যদি সিএএ লাগু হয়, তবে সমগ্র উত্তরপূর্বেই প্রভাবপড়বে।
নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গনাইজেশন সাফ জানাচ্ছে, দেশের সরকার এখনও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারেনি। সেই কারণেই আজও নর্থ ইস্ট উত্তপ্ত। মোদী সরকারের বঞ্চনা শিকার গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। ছাত্র সংগঠনের দাবি, স্বাধীনতার ৭৫ বছর অতিক্রান্ত কিন্তু নাগাল্যান্ডে আজও একটি মেডিক্যাল কলেজ হয়নি। মোদী সরকারের উচিত এগুলো নিয়ে ভাবা, এমনটাই বলছেন তারা। এর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের দাবি, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি থেকে পুরোপুরি আফস্পা প্রত্যাহার করতে হবে।