যাদপুর ক্যাম্পাসে মাদকের ব্যবহার নিয়ে চিন্তায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় যাদপুর ক্যাম্পাসে মাদকের ব্যবহার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসে মদ ও মাদকের ব্যবহার ঘিরে উদ্বেগ বাড়িয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। সেখানেই ক্যাম্পাসে মাদকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেকে। মাঝেমধ্যে ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের তরফে মাদক-বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচার করা হলেও তা যে কাজে আসছে না, সেটাও এদিনের আলোচনায় স্পষ্ট হয়।
শিক্ষক ও আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মদ ও মাদক সেবনের এলাকায় পরিণত হচ্ছে। দুপুরেও নানা জায়গায় ‘আসর’ বসে বলে প্রবীণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকের অভিযোগ। সে জন্যে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতকেই দায়ী করেছেন অনেকে।
সম্প্রতি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) আধিকারিকরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তাঁরা ঝিলপাড় থেকে চার জনকে হাতেনাতে ধরেন বলে খবর। যদিও মুচলেকা নিয়ে ছেড়েও দেওয়া হয়। এনসিবি-র তরফে যদিও বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। বহিরাগতদের মাদক সেবনের দাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি মাঠ এবং ওপেন এয়ার থিয়েটারের দিকে সন্ধ্যার পরে আর যাওয়াই যায় না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন শুক্রবারের বৈঠকে। বেশি সমস্যায় পড়ছেন ক্যাম্পাসের কোয়ার্টারে থাকা শিক্ষক, আধিকারিক, শিক্ষাকর্মী এবং তাঁদের পরিজনেরা। শিক্ষাকর্মীদের একাংশের আবাসনে বহিরাগতরা থাকছেন বলে পাল্টা অভিযোগও ওঠে। উপাচার্য বৈঠকের পরে বলেন, ”বিষয়টি চিন্তার। সবাই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আরও আলোচনা হবে।”