স্কুলে শেখানো হবে ডাংগুলি, চু কিতকিত! কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত এখন হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে
বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে যখন দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন ক্রীড়াবিদরা, তখন মজার ছলে শিশুদের খেলা শেখাতে গিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘ছেলেখেলা’ শুরু করে দিল কেন্দ্রের এনডিএ সরকার।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির অনুমোদিত খেলাগুলি শেখানোর প্রতি জোর দেওয়ার পরিবর্তে এখন স্কুলে শেখানো হবে ডাংগুলি, ঘুড়ি ওড়ানোর মতো দেশের ৭৫টি প্রাচীন খেলা! এই তালিকায় রয়েছে- এক্কা দোক্কা, চু কিতকিত, তালাচাবি, আট্যাপাট্যা, লাঙ্গরির মতো খেলা!
স্কুলস্তরে খেলাধুলো নিয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিভিন্ন মহলে যা নিয়ে মশকরাও করা হচ্ছে। শুধু চলতি কমনওয়েলথ গেমসেই নয়, গত বছরের টোকিও অলিম্পিকেও তাক লাগানোর মতো সাফল্য পেয়েছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। বিশ্বের ক্রীড়া মানচিত্রে ভারত যখন নতুন করে দাগ কাটতে শুরু করেছে, তখন কেন আরও বেশী করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ধরনের অনুমোদিত খেলায় উৎসাহিত করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, অনুমোদিত খেলাগুলি অনুশীলন করলে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন তারকা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হত, তেমনই বিভিন্ন স্তরে চাকরি পেয়ে তাঁদের ভবিষ্যৎ আরও সুনিশ্চিত হতে পারত। কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, যে খেলাগুলিকে অনতর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা পুরোপুরি দেশীয় খেলা। এর ফলে হারিয়ে যেতে বসা দেশীয় সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে। দেশীয় খেলার মাধ্যমে জ্ঞান ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে। খুদেদের মনে তৈরি হবে জাতীয়তাবাদ।
শুধু দেশীয় খেলাধুলার অন্তর্ভুক্তিই নয়, ঠিক হয়েছে, স্কুলে শেখানো হবে বেদ, বাস্তুশাস্ত্র, আয়ুর্বেদ, আয়ুষ, যোগের মতো বিষয়ও। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই নতুন করে জাতীয়তাবাদের তাস সাজাতে চাইছে বিজেপি, আরএসএস?