সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা: ভোটে হেরে কুৎসার রাজনীতি করছে বিরোধীরা, মত তৃণমূলের
বিপ্লব কুমার চৌধুরী ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে দুই ব্যক্তি হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বাস্থ্য মামলা দায়ের করেন। মামলার মূল বিষয় ছিল, ২০১১ সাল থেকে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেবনিকেশ করে দেখা গিয়েছে, এক একজনের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে হাজার গুণ পর্যন্ত। কীভাবে এই বৃদ্ধি? এই প্রশ্ন তুলে ২০১৭ সালে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা (Abdur Razzak Molla), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta), শিউলি সাহা ও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee)।
বুধবার বিধানসভা থেকে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick), মলয় ঘটক (Moloy Ghatak), শিউলি সাহা (Seuli Saha), অরূপ রায় (Arup Roy) একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দেন ব্রাত্য-ফিরহাদরা।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সব হিসাব দিয়েছি। আয়কর দপ্তর কোনও পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো অন্যায় নয়। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়। রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা। বিজেপি’র বি টিম হয়ে কংগ্রেস-সিপিএম আক্রমণ করছে। অর্ধেক তথ্য প্রকাশ করছেন কেন?’’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে ফিরহাদের দাবি, ‘‘পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর।’’
ব্রাত্য বসুর দাবি, ভোটে হেরে কুৎসার রাজনীতি করছে বিরোধীরা। তার কুপ্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। ব্রাত্য বসুর আরও দাবি, সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury), সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra), অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya), কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Ganguly), আবু হেনা (Abu Hena), ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, রূপরানি মণ্ডল, তরুণকান্তি ঘোষ (Tarun Kanti Ghosh), চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতো (Nepal Mahata), মোহিত সেনগুপ্তর মতো রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সিপিএম, কংগ্রেস বা অন্য দল নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। কুৎসার বিকল্প কুৎসা হতে পারে না। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’’