EPFO-র টাকা শেয়ার বাজারে খাটাচ্ছে মোদী সরকার, অর্থের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ইচ্ছে মতো শেয়ার বাজারে লগ্নি করছে মোদী সরকার? অন্তত সরকারি পরিসংখ্যান এমনটাই বলছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ইপিএফও অছি পরিষদের বৈঠকে ইপিএফওর টাকা শেয়ার বাজারে লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশে নিয়ে যেতে চেয়েছিল মোদী সরকারের শ্রমমন্ত্রক। যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলির আপত্তিতে তা আর হয়নি। কিছুটা বাধ্য হয়েই চাপে পড়ে পিছু হঠে, মোদী সরকারের শ্রমমন্ত্রী তথা ইপিএফও অছি পরিষদের চেয়ারম্যান ভূপেন্দ্র যাদব। কিন্তু তা সত্ত্বেও মোদী সরকারের সাম্প্রতিক তথ্য-পরিসংখ্যান ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, লাগাতার তিনটি অর্থ বছরে মোদী সরকারের ইচ্ছে মতো শেয়ার বাজারে লগ্নির পরিমাণ ক্রমশ বাড়িয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ইপিএফও আওতাধীন কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র আসন্তোষের জন্ম হয়েছে।
মোদী সরকারের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইপিএফও (EPFO) এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে ক্রমশ লগ্নির পরিমাণ বাড়িয়ে গিয়েছে। দফায় দফায় বেড়ে তা ১২ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়িয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের জুন অবধি শেয়ার বাজারে ১২ হাজার ১৯৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছে মোদী সরকার। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে এখনও সাত-আট মাস সময় বাকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরের লগ্নির পরিমাণ আগের তিনটি বছরকেও পেরিয়ে যাবে।
দেশ ইপিএফও আওতাধীন কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি, এই বিপুল সংখ্যক মানুষে পাহাড় প্রমাণ টাকা শেয়ার বাজারে খাটানো হলে আদৌ সুরক্ষিত থাকবে তো? উঠছে প্রশ্ন। টাকার সুরক্ষার প্রশ্নে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলিও সন্দিহান। ফান্ডের সুরক্ষার প্রশ্নে কর্মচারীরাও চিন্তিত।