#EXCLUSIVE “সোশ্যাল মিডিয়া ‘স্টুপিড’ লোকজনে ভরে গেছে”- দৃষ্টিভঙ্গিকে কেন এমন বললেন মীর?
ফুডকার পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মীর ও ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল দৃষ্টিভঙ্গি। সেখানেই মীরের উদ্দেশ্যে দৃষ্টিভঙ্গির প্রশ্ন ছিল, আজকাল যে বিভিন্ন ব্রেকিং, হেডলাইন তৈরি হয়, সেগুলো মীরের কেমন লাগে?
ফুডকার ভাইপো মীরের জবাব; তিনি দেখেন, কমেন্টগুলো পড়েন, মজা পান, হাসেন, এবং সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন তিনি বোঝার চেষ্টা করেন ‘এত কম জেনে, মানুষ কীভাবে বেঁচে রয়েছেন? এত কম নলেজ নিয়ে তারা কীভাবে কাজ কারবার চালায়?’ তিনি আরও জানান, সামাজিক মাধ্যম পুরোপুরি ‘স্টুপিড’ লোকজনে ভরে গিয়েছে।
তাঁর কথায়, বন্ধুবান্ধবদের খুঁজে বের করা, আড্ডা মারার জন্য ফেসবুক করা শুরু হয়েছিল। রোয়াকে বসে আড্ডা, ডিজিটাল রোয়াক অর্থাৎ অনলাইন-অফলাইন এখানে মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। আমরা (বর্তমান প্রজন্ম অর্থে) ডিজিটাল রোয়াকে বিশ্বাস করি, সেটাই ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম বা সোশ্যাল মিডিয়াতে করা হয়। তিনি যোগ করেন, এখানে( সামাজিক মাধ্যমে) মানুষজন ফান এলিমেন্টটাকে ভুলে যাচ্ছেন। খালি নোংরামো ঢুকছে। একে কীভাবে টার্গেট করব, ওর পিছনে কী করে লাগবো, ওর চারটে খারাপ জিনিস কী করে বার করব? এই জিনিসগুলো যতদিন যাচ্ছে আরও বাড়ছে। লোকজন পুরো সত্যিটা তো জানেনই না, এমনকি সত্যির এক-চতুর্থাংশটুকুও জানেন না। কিন্তু মতামত দিতে ভালবাসেন।
এর নেপথ্য কারণ হিসেবে মীর জানিয়েছেন, “আমি যাকে গালাগাল করছি, তাকে সামনাসামনি তো এটা করতে হচ্ছে না। আমি আড়ালে করছি। সামানসামনি তারা করতে পারবেন না।” এ প্রসঙ্গে, নিজের অভিজ্ঞতা নিয়েছেন মীর। তিনি বলেন, “কোন খোঁচানো কমেন্ট কেউ করছেন, তাকে যখন শুধরে দিয়ে কিছু একটা বলেছি। তখন সে বলে, হে হে আপনার রিপ্লাই পাওয়ার জন্যে আপনাকে একটু খুঁচিয়েছিলাম। খুবই বোকা বোকা ক্লাসলেস হিউমার মাঝে মধ্যে লোকজনের থেকে বেরিয়ে আসে।” তিনি বলেন, “যাই হোক, আমাদের স্রোতের অনুকূলে যেতে হবে। আমি তো ঠগ বাছতে গিয়ে গা উজার করে দিতে পারি না। কারণ এই মানুষ যারা দেখছেন তাদের থেকেও বেটার দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ আছেন, এই ভরসায় আমরা কনটেন্ট তৈরি করছি।”
দেখে নিন সেই ভিডিওটি: