কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অক্সিজেন পেল দক্ষিণবঙ্গের ধানচাষ, স্বস্তিতে কৃষকরা
২০২২ সালের বর্ষাকাল প্রায় বৃষ্টিহীনভাবেই কাটছে। বৃষ্টির ঘাটতির কারণে ক্ষতি হচ্ছে চাষের, কম বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণবঙ্গের ধানচাষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের শঙ্কা কিছুটা হলেও কেটেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টি এবারের ধানচাষকে বাঁচিয়ে দিল। উন্নত ফলন পেতে কৃষি বিষেশজ্ঞরা ১৫ আগস্টের মধ্যে ধানের চারা রোপণের পরামর্শ দেন।
কৃষিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে ৮ আগস্ট অবধি দক্ষিণবঙ্গে ৫০ শতাংশের কম জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ইত্যাদি জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের (Rain) পরিমাণ খুবই কম, ধান রোপণের হারও একেবারেই কম।
কৃষিদপ্তর পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ১১ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে কেবলমাত্র মুর্শিদাবাদ ছাড়া প্রায় সব জেলা বৃষ্টি হয়েছে। পুরুলিয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সর্বাধিক, প্রায় ৯১ মিলিমিটার। বাঁকুড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলায় ৩০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। নদীয়া ও বীরভূমে বৃষ্টির পরিমাণ খুবই কম, সেখানে যথাক্রেম ১৭ মিমি ও ৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
বিষেশজ্ঞদের মতে, কৃষি জমিতে ৩০-৪০ মিমি জল দাঁড়িয়ে থাকার মতো পরিবেশ থাকলেই ভালভাবে চারা রোপণ করা যায়। কৃষিদপ্তরের মুখ্য আবহাওয়াবিদ ডঃ মৃণাল বিশ্বাসের মতে, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় একদিনে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা ধানচারা রোপণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বলা যায়।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি এই সময়ে কার্যত বৃষ্টিহীনই ছিল। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর বঙ্গোপসাগরে আবার একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলেও জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।