‘মরব, তবু মাথা নত করব না’ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে হুঙ্কার মমতার
রবিবার বেহালার ম্যান্টনের মঞ্চ থেকে জোর গলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ‘চব্বিশে মোদী জিততে পারবেন না’। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি সাফ বললেন, ‘বিজেপিও সেটা বুঝে গিয়েছে। তাই এজেন্সি লেলিয়ে ভয় দেখানোর নোংরা খেলায় নেমেছে। বেছে বেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের হেনস্তা করছে ওরা। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।’
মমতার হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘মরব, তবু ভয় পাব না। পারলে আমার ঘরেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি আসুক। বিচার হবে জনতার দরবারে।’ জনতাকে উদ্দেশ করে যখন প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি, ‘আমার জন্য পথে নামবেন তো?’ মানুষ সমবেত চিৎকারে হ্যাঁ বলেছে। অনুব্রত মন্ডলের গ্রেপ্তার সম্বন্ধে মমতা বলেন, ‘কী করেছে কেষ্ট? কিছু কি প্রমাণ হয়েছে? ও কখনও এমএলএ-এমপি হতে চায়নি। ওকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তাও রাজি হয়নি। অথচ, প্রতিবার ভোট এলেই কেষ্টকে ঘরবন্দি করে রাখে! কিন্তু এভাবে আটকানো যাবে না। ছেলেটা কত কষ্ট পাচ্ছে! যেমন খুশি অপবাদ ছড়িয়ে আগে ইমেজ নষ্ট করে দাও। এটাই ওদের কৌশল। তারপর তো কিছুই হয় না! আপনারাই বলুন, গোরুর টাকা কোথা থেকে আসে? বিএসএফ তো চালায় অমিত শাহের মন্ত্রক!’
মমতা বলেন, ‘মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু ওরা ভেঁপু বাজিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাইছে। ঘুম থেকে উঠেই আমাকে অপমান করার পালা চলে ওদের। আসলে ওরা যে আমাকে ভয় পাচ্ছে, সেটা পরিষ্কার।’
বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘ওরা বলছে, ববিকে ধরবে, অরূপকে ধরবে। তৃণমূল চোর, এটা প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চলছে। ৫০ জন, ১০০ জন নেতার নামের তালিকা নাকি রোজ দিল্লিতে পাঠাচ্ছে। কিন্তু আমিও বলে দিচ্ছি, মরব, তবু মাথা নত করব না। সহকর্মীদের নিয়ে জেল ভরো আন্দোলনের ডাক দেব।’ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘বিজেপির এত টাকা কোথা থেকে এল? মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙার টাকা কে দিল? ওদের বিরুদ্ধে কেন সিবিআই-ইডি হবে না? আমাদের প্রশাসনের আট অফিসারকে ডেকেছে। কারণ, আমাদের অফিসাররাই চোর ধরে ফেলেছে।’ এই উক্তির সঙ্গে মমতা আজ ঝাড়খণ্ডের এমএলএ কাণ্ডের প্রসঙ্গই এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন।