নেতাজির দেহাবশেষ’ জাপান থেকে ফেরাতে সওয়াল করলেন তাঁর কন্যা অনিতা
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের দেহাবশেষ’ জাপান থেকে ফিরিয়ে আনতে স্বাধীনতা দিবসের দিনই সওয়াল করলেন তাঁর কন্যা অর্থনীতিবিদ অনিতা বসু পাফ। তিনি জানিয়েছেন, এই মর্মে অনেকবার ভারত এবং জাপানের সরকারের কাছে আবেদন জানালেও তাতে লাভ হয়নি। নেতাজির মৃত্যু নিয়ে যাবতীয় ধোঁয়াশা দূর করার জন্য এটাই একমাত্র উপায়, মত অনিতা বসু পাফের।
সোমবার অনিতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ভারতের স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি নেতাজি। কিন্তু তাঁর দেহাবশেষ যদি ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়, সেটাই হবে তাঁর প্রতি বর্তমান জনতার শ্রদ্ধার্ঘ্য।” অনিতা (Anita Bose Pfaff) বলেছেন, “আমার মনে হয় ভারত সরকার এবং জাপান সরকার এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তার ফলে সময় নষ্ট করছে দু’দেশের সরকার। নেতাজিকে নিয়ে দুই দেশ একটু অস্বস্তিতে রয়েছে।”
জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা ভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা নিয়ে অনিতা বলেছেন, “আধুনিক প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তার ফলে চিতাভস্ম থেকে ডিএনএ বের করে এনে পরীক্ষা করা যায়। যাঁরা মনে করেন, জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা ভস্ম আসলে নেতাজির নয়, তাঁদের ভুল ভাঙা যেতে পারে।” তিনি আরও বলেছেন, রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিত এবং জাপান সরকার ইতিমধ্যেই নতুন করে পরীক্ষা করাতে রাজি হয়েছে। তাঁর নেতাজির দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার দাবিকে সমর্থন করার জন্য সাধারণ মানুষকে আবেদন জানিয়েছেন অনিতা।
আজও অজানা রয়ে গিয়েছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান মুখ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) মৃত্যু রহস্য। ১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে পরমাণু বিস্ফোরণ হওয়ার পরেই ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নেতাজি। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই জানা যায়, ১৮ আগস্ট জাপানের তাইহোকু এয়ারবেসে একটি বিমান দুর্ঘটনায় হয়তো মৃত্যু হয়েছে নেতাজির। তারপর থেকেই নেতাজির মৃত্যু নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বিভিন্ন সময়ে মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নেতাজির মৃত্যু রহস্য সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কবে কীভাবে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি।