যত্রতত্র পার্টি অফিস নয়, দল অনুমোদিত কার্যালয় থেকেই চলবে তৃণমূলের কাজকর্ম
আর যেখানে সেখানে ইচ্ছে মতো পার্টি অফিস নয়! তৃণমূলের দলীয় নিদান ওয়ার্ডে বা ব্লকের যেখানে সেখানে পার্টি অফিস খোলা যাবে না। প্রতিটি জেলায় দলের একটি করে সদর কার্যালয়ে থাকবে। সেই জেলা সদর কার্যালয় থেকেই সংশ্লিষ্ট জেলার সংগঠনের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করা হবে। প্রতি ১৫ দিন পর পর জেলা পার্টি অফিসে সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতি, চেয়ারম্যান এবং কোর কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। প্রয়োজন মতো ব্লক ও অঞ্চল সভাপতির ডেকে খোঁজখবর নিতেও বলা হয়েছে। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে দলের নতুন-পুরনো নেতা-কর্মীদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
যত্রতত্র পার্টি অফিস খোলার বিষয়টিকে ভালভাবে নিচ্ছে না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই এই বিষয়ে কড়া উদ্যোগ নিচ্ছে তৃণমূল। দলের শীর্ষ স্তর এই উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। একটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক পার্টি অফিস, একই এলাকায় ঢিল ছোড়া দূরত্বে দুটি পার্টি অফিস, একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা একাধিক পার্টি অফিস তৈরির বিষয়গুলি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে এসেছে। অনুমোদন না নিয়ে যে যে পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও খবর পৌঁছেছে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। শুক্রবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে ডাকা তৃণমূলের বৈঠকে এই যত্রতত্র পার্টি অফিস তৈরির বিষয়টি উঠে এসেছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং জেলা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা, বিধায়করাও বৈঠকে হাজির ছিলেন বলে খবর।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিষেক ওই বৈঠকে বলেন, সব জায়গায় ইচ্ছে মতো পার্টি অফিস (Party Office) খোলা যাবে না। দলের অনুমোদন নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পার্টি অফিস তৈরি করতে হবে। দলের অনুমোদিত পার্টি অফিস থেকেই দলের যাবতীয় কাজকর্ম চলবে।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকেই পাখির চোখ করেছে জোড়াফুল শিবির। জেলা ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক করা হচ্ছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করছে তৃণমূল। স্থানীয় নির্বাচন বলেই স্থানীয় নেতাদের অর্থাৎ ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতিদের কাজকর্ম নিয়েও সবিস্তারে আলোচনা হচ্ছে। ১৪ আগস্ট থেকে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নব নিযুক্ত ব্লক, টাউনের সভাপতিদের নাম প্রকাশ করতে শুরু করেছে।জানা গিয়েছে, আগামী ছয় মাস কোন ব্লকে কেমন কাজ হবে, তা উপর সজাগ দৃষ্টি রাখবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কোনরকম বেনিয়ম হলেই ব্লক সভাপতি বদলের পথে হাঁটবে জোড়াফুল শিবির, এমনটাই খবর মিলেছে।