বিজেপির সংসদীয় কমিটি: ছেঁটে ফেলা হল শিবরাজ, গড়করিকে, নেই মুসলিম মুখ
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সংসদীয় বোর্ডে আমূল বদল আনল বিজেপি। পুরনো একাধিক মুখকে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে সংসদীয় বোর্ড থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে দলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্ষীয়ান নেতা নীতীন গড়করিকে এবং মধ্যপ্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে।
নীতীন গড়করি এবং শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ‘মধুর সম্পর্কে’র কথা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে বহুল চর্চিত। শিবরাজ সিং চৌহানকে তো এক সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হত। নীতীন গড়করি এই মুহূর্তে মোদী মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে একজন। আরএসএস ঘনিষ্ঠ, নাগপুর ‘লবি’র নেতা গড়করির সঙ্গে মোদী-শাহ’দের সম্পর্ক খুবই তিক্ত। বিজেপি’র অন্দরে গড়করি মোদী-শাহ’র বিরোধী বলেই পরিচিত।
ফলে সংসদীয় কমিটি থেকে নীতীন গড়করি ও শিবরাজ সিং চৌহানকে সরিয়ে কৌশলে নিজেদের কতৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করলেন মোদী-শাহ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর সংসদীয় বোর্ড পুনর্গঠন করেছিলেন মোদী-শাহ। সে সময় দলের দুই প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলীমনোহর জোশীকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপির মহাগুরুত্বপূর্ণ এই দু’টি কমিটির একটিতেও কোনও মুসলিম মুখ নেই। এর আগে দলের নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন শাহনওয়াজ হুসেন। তিনিও বাদ পড়েছেন। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের দু’টি শীর্ষ কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি স্থান পাননি।
বিজেপি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতে এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে। আগামী বছরে দক্ষিণ ভারতের এক মাত্র বিজেপিশাসিত রাজ্যের বিধানসভা ভোট ‘নজরে’ রেখে তাঁর অন্তর্ভুক্তি বলে মনে করা হচ্ছে। ১১ সদস্যের সংসদীয় বোর্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, সর্বানন্দ সোনওয়ালের পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষের মতো প্রথম সারির নেতারা রয়েছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে পুনরায় ঢুকে পড়েছেন রাজনাথ সিং এবং দুটি কমিটির কোনওটিতেই নাম নেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। উত্তরপ্রদেশে বিরাট সাফল্যের পর যোগী এই কমিটিগুলিতে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল।