রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মোদী সরকারের পেনশন যোজনা ফ্লপ বাংলায়, বলছে পরিসংখ্যান

August 18, 2022 | 2 min read

২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা চালু করেছিল। এই স্কিম ছিল অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৪৬ কোটি শ্রমিককে পেনশনের আওতায় আনতেই। মোদী সরকারের এই প্রকল্পটি যে বাংলায় সুপার ফ্লপ হয়েছে, এমনই বলছে বলছে পরিসংখ্যান। শুরু হবার চারবছর পরেও এখানে এই পেনশন প্রকল্পে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ৬৩ হাজারেরও কম! বাংলায় প্রকল্পটি না সাফল্য পাওয়ায় ব্যাপারটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে। তাই এবার বিজেপি সরকার অন্য দপ্তরের কর্মীদের মাঠে নামিয়েছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের দোহাই দিয়ে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও অফিসারদের দিয়ে এই যোজনার প্রচার ও নাম নথিভুক্তিকরণ শুরু হয়েছে দুই মেদিনীপুর ও দুই বর্ধমানে। অন্য দপ্তরের কর্মীদের ব্যবহার করা নিয়ে ক্ষোভ শুরু হয়েছে সরকারি মহলে।

সারা দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৮ লক্ষ্য ২০ হাজার মানুষ এই পেনশন যোজনার (Pension Scheme) অন্তর্ভুক্ত। হরিয়ানায় অন্তর্ভুক্তির সংখ্যাটি হল প্রায় ৮.২৩ লক্ষ, উত্তরপ্রদেশে ৬.৬০ লক্ষ, মহারাষ্ট্রে ৬ লক্ষ, গুজরাতে ৩.৮১ লক্ষ। সেখানে বাংলায় সংখ্যাটি মাত্র ৬৩ হাজার।

শ্রমমন্ত্রকের মাধ্যমে স্কিমটি আসলেও এটির দেখভাল করে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা। ১৮-৪০ বছর বয়সিরা যোগ দিতে পারেন। বয়স অনুযায়ী, মাসে ৫৫-২০০ টাকা প্রিমিয়াম দেন গ্রাহক। ৬০ বছর বয়সে মান্থলি পেনশন মেলে ৩০০০ টাকা। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে প্রথম পেনশন মিলবে ২০৩৯-এ। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছায় কেনার স্কিম। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা আপত্তি তুলেছেন কেন সেটিই চালু করতে ইপিএফও এবং ইএসআইকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র?

কর্মীদের বক্তব্য, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবকে সামনে রেখে দেশের ৭৫টি জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের উপর কাজটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলার জেলা চারটি। বাংলায় যেহেতু এই স্কিমের কোনও সাফল্য নেই, তাতে আগামী দিনে রাজ্যের সব জেলারই উপর দায়িত্ব চাপতে পারে, আশঙ্কা করছেন কর্মীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Modi Government, #Pension Scheme, #Pension Yojana

আরো দেখুন