রাজ্যজুড়ে পাল্টে গেল পুলিশের দু-হাজারের সিইউজি মোবাইল নম্বর
রাজ্যজুড়ে পাল্টে ফেলা হল পুলিশের দু-হাজারের বেশি সরকারি মোবাইল নম্বর। ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মনোজ মালব্যের নির্দেশে এই বদল করা হয়েছে। গোটা রাজ্যের সব থানার ওসি-আইসি থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ আইপিএস কর্তাদের নম্বর বদলে ফেলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথমবারের জন্যে রাজ্য পুলিশে ক্লোসড ইউজার গ্রুপ সংযোগের মোবাইল নম্বর চালু করা হয়েছিল। প্রায় সাত বছর পরে ভবানীভবন ওই পরিষেবায় নিযুক্ত বেসরকারি টেলিকম সংস্থা বদলের সিদ্ধান্ত নিল। সূত্রের খবর, দু-মাস আগে নবান্নের উচ্চপদস্থ কয়েকজন ভিভিআইপির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন ডিজিপি। জানা গিয়েছে, সে সময় একাধিকবার মনোজ মালব্যের ফোন কেটে গিয়েছিল। তিনি দেখেন তার মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই। এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ডিজিপি। সে কারণেই বিগত জুলাই মাসে নতুন এক বেসরকারি টেলিকম সংস্থার সঙ্গে ভবানীভবন চুক্তি করে।
ইতিমধ্যেই পুলিশ অফিসাররা ২০৬০টি নতুন নম্বর ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। রাজ্যের সব থানাগুলিকে আরও বেশি করে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিচ্ছে ভবানীভবন। থানাগুলিকে কাজে গতি আনতে ব্রডব্যান্ড ছেড়ে অপটিক্যাল ফাইবারের ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু আইপিএসদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ টেলিকমিউনিকেশন শাখার সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করে, হঠাৎই সিইউজি নম্বর বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুলিস অফিসারদের সরকারি নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিইউজি নম্বর দেখাভালের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পুলিশের টেলিকমিউনিকেশন শাখা।
রাজ্য পুলিশের অধীনে এই মুহূর্তে প্রায় ৫৫৩টি থানা রয়েছে। এছাড়াও কোস্টাল, মহিলা, সাইবার, দুর্নীতি দমন শাখা, জিআরপিসহ আরও একাধিক থানা রয়েছে রাজ্যে। থানাগুলির ফিল্ড অফিসার, জেলার পুলিশ সুপার, ডিআইজিসহ আরও কিছু অফিসার সিইউজি মোবাইল ব্যবহার করেন। যেখানে পোর্ট করার সুবিধা রয়েছে, সেক্ষেত্রে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের নম্বর কেন রাতারাতি পাল্টে দেওয়া হল? প্রশ্ন উঠছে। যদিও ভবানীভবনের বক্তব্য, ওই সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থা নানা অজুহাতে পোর্টের বিষয়ে রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই নতুন নম্বরের পথে হাঁটল রাজ্য পুলিশ।