বার্থ সার্টিফিকেটের সঙ্গেই মিলবে সদ্যজাতর আধার নম্বর, উদ্যোগ রাজ্যের
এবার থেকে সদ্যোজাতের বার্থ সার্টিফিকেটের সঙ্গেই মিলবে আধার নম্বর, অভিনব উদ্যোগ নিল রাজ্য। চলতি বছরের মে মাসে জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদানের জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করেছিল রাজ্য। যা ইতিমধ্যেই বিপুল সাড়া ফেলেছে। এবার আরও এক অভিনব উদ্যোগ নিল নবান্ন। গতকাল ২৩ আগস্ট স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, এবার থেকে সদ্যোজাতের বার্থ সার্টিফিকেটের সঙ্গেই দেওয়া হবে আধার নম্বর।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করার বিষয়ে উদ্যোগী। স্বাস্থ্যদপ্তরকে এই পরিকল্পনা রূপায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের ইউআইডিএআইয়ের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন স্বাস্থ্যভবনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার সচিব। জানা যাচ্ছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইউআইডিএআইয়ের এডিজি পদপর্যাদার এক আধিকারিক কলকাতায় আসছেন। স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সদ্যোজাতের আঙুলের ছাপ, চোখের মণি জন্মের পর অপরিণত অবস্থায় থাকে। ফলে সদ্যজাতদের শনাক্তকরণ চিহ্নগুলি সংগ্রহ করা অপ্রাসঙ্গিক। সেই কারণেই সদ্যজাতদের বাবা বা মায়ের শনাক্তকরণ চিহ্নগুলি ব্যবহার করেই পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বাল আধার কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে।
রাজ্য যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তাতে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদানকারী পোর্টালের সঙ্গে ইউআইডিএআই পোর্টাল সংযুক্ত করা হতে পারে। পোর্টাল থেকে জন্মের শংসাপত্র প্রদান করার সময়, মা বা বাবার আঙুলের ছাপ বা অন্য কোন শনাক্তকরণ চিহ্ন ব্যবহার করে, নবজাতকের জন্যে ১৪ সংখ্যার আধার নম্বর দেওয়া হবে। শিশুর পাঁচ বছর বয়স অবধি সেটাই হবে তার আধার নম্বর। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়েই আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে, জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত পোর্টালটি তিন মাসেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পোর্টালের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ শিশুর জন্মের শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। ১ লক্ষ ৪৭ হাজারটি মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে এই পোর্টালের মাধ্যমে। এই পোর্টালের ফলে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছে। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে হয়রানি লাঘব হয়েছে। অফিসে অফিসে ঘোরার থেকে রেহাই পেয়েছে আমজনতা।