ধর্ষকদের মুক্তি কেন? বিলকিস মামলায় গুজরাট সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট
বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট (Gujarat) সরকার। গোধরার উপসংশোধনাগারে গত ১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল সকলে। ১৫ আগস্ট মুক্তি পেয়ে তারা বেরিয়ে এসেছে। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গুজরাট সরকারের শাস্তি মুকুবের মিয়ম অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই পনেরো বছর কারাবাসের পর সকলের শাস্তি মকুব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিলকিস (Bilkis Bano Case) বানোর ধর্ষকদের মুক্তি নিয়ে গুজরাট সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ১১ ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১১ দোষীকে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী দু’সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে। গত ২৩ আগস্ট, মঙ্গলবার বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলিরা। মামলাটি উত্থাপন করেন আইনজীবী অপর্ণা ভট্ট।
১১ ধর্ষকের মুক্তির পর বিলকিসের স্বামী ইয়াকুব রসুল প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছিলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্ত এক ঝটকায় আমাদের ১৮ বছরের লড়াইকে শেষ করে দিয়েছে। গত দু’দশক একের পর এক আদালতে ছুটেছি। এখন দেখে মনে হচ্ছে ধর্ষকদের নিয়ে উদ্যাপন শুরু হয়েছে। ওরা যেন নায়ক!”