গণপরিবহণকে নাগরিকবান্ধব করে তুলতে উদ্যোগী রাজ্য, চালু হচ্ছে অভিন্ন পাস
দু-বছরের করোনা পর্ব কাটিয়ে ফের চেনা ছন্দে ফিরবে দুর্গাপুজো, সেই আশায় বুক বাঁধছেন পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, আমজনতা সকলকেই। বাংলার দুর্গাপুজো এবার ইউনেস্কোর সম্মানও পেয়ে গিয়েছে। ফলে পুজো নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা থাকছেই।বিদেশ এবং ভিন রাজ্য থেকেও এবার পুজোয় মানুষের ঢল নামবে রাজ্যে। এবার পুজোয় বিপুল জনসমাগমের হাওয়া সম্ভাবনা থাকছে। তা ইতিমধ্যেই আঁচ করছে সরকার। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হচ্ছে। তাই বিশেষ ‘কলকাতা টুরিস্ট পাস’-এর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য।
এক পাস দিয়েই সরকারি বাস, ট্রাম ও ফেরিতে ভ্রমণের সুযোগ মিলবে। টিকিট কাটার কোন সমস্যাই থাকবে না। পুজোর আনন্দকে বাড়িয়ে দিতেই এই পাসের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অভিন্ন পাস নিয়ে আগামী ৩১ আগস্ট রাজ্যের পর্যটন, পরিবহণ দপ্তর ও কলকাতা পুরসভা বৈঠকে বসতে চলেছে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। মেট্রোকেও এই পাসের আওতাভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। শহরের সরকারি গণপরিবহণকে বেশি করে নাগরিকবান্ধব করে তুলতে চাইছে রাজ্য।
ফেরি পারাপার বা সরকারি বাস, ট্রাম; সর্বত্র পাস পাওয়া যাবে। সেই পাস দিয়েই শহরবাসী সফর করতে পারবেন। এবারের দুর্গাপুজো থেকেই সেই পাসের মাধ্যমে ভ্রমণের প্রক্রিয়া শুরু করতে উদ্যোগী সরকার। আপাতত এই পাসের নাম রাখা হতে পারে, ‘কলকাতা টুরিস্ট পাস’। অ্যাপ থেকেও পাসটি কাটা যাবে। পাসের মূল্য হবে ১০০,৩০০, ৪০০ টাকা। আপাতত পুজোয় ৩ বা ৭ দিনের জন্য এই পাস মিলবে।
অন্যদিকে, বিদেশি পর্যটকদের জন্যে আরও একটি পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য। ভিন দেশি পর্যটকদের জন্যে কলকাতার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান নিয়ে টুরিস্ট সার্কিট তৈরি করতে চাইছে রাজ্য। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, জাদুঘর, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি, মার্বেল প্যালেস, নিকো পার্ক, সায়েন্স সিটি, ইকো পার্কসহ মোট ১৪টি জায়গা এই টুরিস্ট সার্কিটের জন্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে করে তাদের শহর ঘুরিয়ে দেখানো হবে।