বাগদায় বধূকে গণধর্ষণ বিএসএফ জওয়ানদের, চুপ শাহী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
পাঁচ বছরের সন্তানকে কোল থেকে ছুড়ে ফেলে বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিএসএফের (BSF) এক এএসআই ও এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার জিতপুর সীমান্তে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তৎপরতার দেখিয়ে সেদিন সন্ধ্যার মধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হবে তাদের।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আলতাফ হোসেন এবং এস পি চেরো। চেরো এসআই পদে রয়েছে এবং আলতাব রয়েছেন কনস্টেবলের পদে। বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ধৃতরা । সূত্রে জানা গেছে, ২৩ বছর বয়স্ক এই মহিলা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জিতপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা তাকে আটকাও করে পাশের পটল খেতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মহিলার শিশুসন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ওই দুই বিএসএফ জওয়ান। মহিলার বাড়ি বসিরহাটে। বিষয়টি বিএসএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু শনিবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য় দেখা যায়নি ভারতীয় বিএসএফ বা দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফের অফিসিয়াল টুইটারে।
বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপার তরুণ হালদার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অত্যাচারিত মহিলার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। বিএসএফের দুই জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমানা সুরক্ষার জন্য বিএসএফের জওয়ানরা সদাই সতর্ক থাকেন। কিন্তু এই বিএসএফের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে নারী পাচার বা গরু পাচার রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার। এরকম অভিযোগ উঠেছে যে পাচার চক্রের সঙ্গে যোগসাজস আছে বিএসএফের। কিন্তু আশ্চর্যের কথা, বিএসএফের এই গাফিলতির কথা নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। রাজ্যে যখন গরুপাচার নিয়ে ধরপাকড় চলছে, সেখানে পাচারকারীরা কী করে বিএসএফের নজর এড়িয়ে সীমান্ত পেরোচ্ছে, সেই রহস্যের কথা খুব কমই বলা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমে। এছাড়াও বিএসফের সীমান্তবর্তী গ্রামে নানারকম অত্যাচার নিয়েও অভিযোগ উঠেছে বারংবার, যা চেপে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।