রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

থামছেই না বঙ্গবিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে সুকান্তের সঙ্গে দলীয় বিধায়কের বিবাদ

August 28, 2022 | 2 min read

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বঙ্গ বিজেপিতে নতুন কিছু নয়। রাজ্য স্তর থেকে ব্লক স্তর- সংগঠনের যে কোনও পর্যায়ে কান পাতলেই গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয় কানে আসে। এবার বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দলেরই বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষের বিবাধ চরমে উঠেছে।

লালবাগে সুকান্তর কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। যিনি আবার কি না দলের জেলা সভাপতিও ছিলেন কিছুদিন আগেও। আর এটা নিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দলের বিধায়কের কাদা ছোড়াছুড়ির সাক্ষী হল মুর্শিদাবাদ। সুকান্তর জেলা সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার, লালবাগে ভাগীরথী নদী ভাঙন, নসিপুর রেল সেতু পরিদর্শন এবং জংলি কালীমন্দিরে পূজাদানের কোথাও সুকান্তর ধারেকাছে দেখা যায়নি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকরকে।

এবিষয়ে সুকান্ত মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির সংগঠন মূল কথা। বিজেপি হাজার হাজার জনপ্রতিনিধি তৈরি করে আবার তাদের তুলে ফেলেও দেয়, ফলে বিজেপিতে কে সাংসদ কে বিধায়ক, তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। স্বাভাবিকভাবে কে এল, আর এল না তাতে কিছু এসে যায় না।” এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। তিনি সুকান্তকে ‘উচ্চ শিক্ষিত’, ‘দাম্ভিক’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি(সুকান্ত) বিজেপির কতটুকু সংগঠন করেছেন আমার জানা নেই। তবে সংগঠক হিসাবে কেউ বলতে পারেন না জনপ্রতিনিধিকে তুলে ফেলে দেওয়া যায়। আসলে উনি প্রচুর শিক্ষিত তাই দাম্ভিকতা থেকেই এসব বলেছেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।” এরকম চলতে থাকলে আগামী তিন বছর সুকান্ত রাজ্য সভাপতির পদ ধরে রাখতে পারবেন কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গৌরীবাবু।

বিজেপি সূত্রে খবর, নতুন রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে এবং জেলা সংগঠনে তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে মাসকয়েক আগেই রাজ্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন গৌরীশংকর ঘোষ। ফের তাঁর সঙ্গে সুকান্ত তথা রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp vs bjp, #Dr Sukanta Majumdar, #Gauri Shankar Ghosh, #West Bengal, #bjp, #Bengal BJP

আরো দেখুন