কর্পোরেট ধাঁচে ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠান, ২১ জুলাইয়ের মতোই বাড়তি নজর উত্তরবঙ্গে
২৮ আগস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস রবিবার হওয়ায়, চলতি বছর ২৯ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ২৯ আগস্ট লক্ষাধিক পড়ুয়ার সমাবেশের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই প্রথম ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানেও কর্পোরেটের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমাবেশের জন্যে স্বেচ্ছাসেবক, কার পার্কিং ও বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্যে বিশেষ টিম রাখা হচ্ছে।
২৭ আগস্ট ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে প্রায় ৫০০-র বেশি ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে বিশেষ মিটিং সেরেছে তৃণমূল ছাত্র নেতৃত্ব। দুই প্রাক্তন ছাত্রনেতা তাপস রায় ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও, ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর কথায়, তাদের এবারের সভার মূল আঙ্গিক হল চব্বিশতম বর্ষে লক্ষ্য চব্বিশ। প্রসঙ্গত, এটি ছাত্র পরিষদের চব্বিশতম প্রতিষ্ঠা দিবস। ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে সকলে মুখিয়ে রয়েছেন। তারা এই ছাত্র সমাবেশকে ঐতিহাসিক চেহারা দেবেন বলেও জানিয়েছেন ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি।
আজ রবিবার সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শ্রদ্ধা জানাবে তৃণমূল নেতৃত্ব। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মতোই তৃণমূলের ছাত্র শাখার এই সভাতেও উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরের জেলাগুলি থেকে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আসছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই কলকাতায় এসেও গিয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সার্থকের কথায়, তাদের ভাবনার থেকেও অনেক বেশি সংখ্যক পড়ুয়ারা এবারের সমাবেশে আসেছেন। কোচবিহার থেকে যে সংখ্যক প্রতিনিধি আসার কথা ভাবা হয়েছিল, তার দ্বিগুণেরও বেশি ছাত্রছাত্রীরা আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে প্রতি জেলা থেকেই লক্ষ্যমাত্রায় চেয়েও অনেক বেশি সংখ্যক প্রতিনিধিরা আসছেন।
জানা গিয়েছে এবারের সভায় একাধিক চমক থাকছে। সমাবেশের একেবারে সামনের সারিতে পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বসানো হবে। তিন রঙের টুপি পরে থাকবেন তাঁরা, জাতীয় পতাকার রং ফুটিয়ে তোলা হবে। ধাপে ধাপে গেরুয়া, সাদা ও সবুজ টুপিধারীরা বসবেন। নির্দিষ্ট কিছু গান তৈরিও করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরাই সেগুলোই গাইবেন।