মোদীর ছবি দিয়েই চলছে দেদার প্রতারণা, লিঙ্কে ক্লিক করলেই ফাঁকা ব্যাঙ্ক
মোদীর ছবি দিয়েই দেদার চলছে প্রতারণার কারবার। অপরিচিত ফোন নম্বরের মাধ্যমে চলছে এই কারবার, সেখান থেকেই মেসেজ করা হচ্ছে। মোদীর ছবি দিয়ে নীচে লেখা হচ্ছে, দেশজুড়ে ফোন নম্বর নিয়ে লটারির আয়োজন করা হয়েছে। সেই লটারিতে আপনার নম্বর জয়ী হয়েছে। বলা হচ্ছে, পুরস্কার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা। মেসেজে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নম্বরে যোগাযোগ করে পুরস্কার মূল্য গ্রহণ করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ। খালি হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
দেশে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ছবি দিয়ে এমন বার্তা ছড়ানোর কারণে লালবাজার ও রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট চিন্তিত। ইতিমধ্যে এই ধরণের মেসেজ নিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় সচেতনতার প্রচার চালাতে শুরু করছে। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকেও সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, একটি নম্বর থেকে মেসেজ করা হচ্ছে। একটি ভিডিও পাঠানো হচ্ছে। সেই ভিডিও ডাউনলোড করলেই মোদী ছবি দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গেই চলছে ভয়েস-ওভার। সেখানে এক মহিলা বলছেন, তিনি অঞ্জলি শর্মা (Anjali Sharma) বলছেন। কৌন বনেগা ক্রোড়পতির প্রাইজ ডিপার্টমেন্ট ভারত সরকারের সম্মতিতে দেশজুড়ে একটি লটারি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সেই প্রতিযোগিতায় আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি (যার ফোনে মেসেজ আসছে) ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
ভয়েস ওভারের মধ্যেই দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের উল্লেখ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওই নম্বরে ফোন করলেই নাকি টাকা পেয়ে যাবেন বিজয়ীরা। এও বলা হচ্ছে পুরস্কারের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পুলিশ তরফে জানানো হচ্ছে, প্রতারণা চক্রটি এমনভাবেই টোপ দিচ্ছে। পুরস্কার পাওয়ার আশায় অনেকেই নম্বরে যোগাযোগ করছেন। তখনই তাদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হচ্ছে। একটি লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে, ওই লিঙ্কে ক্লিক করা হলেই প্রতারণার চক্রের হাতে মোবাইলের রিমোট অ্যাক্সেস চলে যাচ্ছে। এরপরই ব্যাঙ্কের সর্বস্ব লুঠ করছেন প্রতারকরা।
প্রতারকদের থেকে বাঁচতে লালবাজারের কর্তারা কোনরকম প্রলোভনে না পা দিয়ে, এমন মেসেজ আসলেই সঙ্গে সঙ্গে তা ডিলিট করে দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন। পুলিশ সাফ জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকলেও ভরসা করার কোন প্রয়োজন নেই। ব্যক্তিগত তথ্য অপরিচিতদের না দেওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।