নেতৃ্ত্বের উপর ‘রাগ’ করেই কি BJP-র শিবিরে অনুপস্থিত শান্তনু, নিশীথ, বার্লারা?
বঙ্গ বিজেপি’র অন্তর্দন্দ্বেদর ছায়া দলের প্রশিক্ষণ শিবিরেও। সোমবার থেকে রাজ্য বিজেপি’র তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে কলকাতায়। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাকা হয়েছে দলের সব সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্য নেতাদের। অথচ দেখা গেল সেখানে গরহাজির রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া তিন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামানিক এবং জন বার্লা। উপস্থিত কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। নির্দিষ্ট সময়েই শিবিরে এসেছেন বিজেপি’র এই ‘আদি’ নেতা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বৈদিক ভিলেজে দলের প্রশিক্ষণ শিবির হচ্ছে, অথচ সেখানেও দলের আভ্যন্তরিন দ্বন্দ্ব মেটার কোনও ইঙ্গিত মিলছে না কেন?। প্রশিক্ষণ শিবিরের পরও আদৌ এই দ্বন্দ্ব মিটবে কী না তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান বিজেপিরই একাংশ।
দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে বাদ দিয়ে রাজ্যের অন্য চার সাংসদকে মন্ত্রী করেছিল বিজেপি। বাবুল বিজেপি ছেড়ে এখন রাজ্যে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী। দেবশ্রী এসেছেন শিবিরে। এসেছেন বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চেও ছিলেন তিনি। কিন্তু বাকিদের দেখা মেলেনি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। বাকি দেড় দিনের শিবিরেও তাঁরা আসবেন না বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। তাঁর মতো বাকি দু’জনও যে আসবেন না তা জানিয়ে দিয়েছেন শান্তনু। তিনি বলেন, ‘‘কেউই আসবেন না। কেন আসবেন না, আমি বলতে পারব না। তবে আসবেন না।’’
বনগাঁর সাংসদ শান্তনুকে এর আগেও ‘বিদ্রোহী’ হতে দেখা গিয়েছে। তিনি কলকাতায় রাজ্য বিজেপির ‘বিদ্রোহী’দের নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন। সেটাও আবার মন্ত্রী হওয়ার পরে সরকারি গেস্ট হাউসে। শুধু তাই নয় একাধিক জায়গায় বিদ্রোহীদর নিয়ে ‘পিকনিক’-এরও আয়োজন করেছিলেন। বার বার ‘পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য চাই’ দাবি তুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে দেখা গিয়েছে বার্লাকে। আবার সরাসরি বিদ্রোহ না দেখালেও রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহী শিবিরের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে নিশীথকে। সবক’টি ঘটনাতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য বিজেপিকে।