কাল কখন কোন রাস্তা দিয়ে যাবে UNESCO-কে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মিছিল, জেনে নিন
বাঙালির দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেস্কো’। তাই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে ১সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামিকাল কলকাতা মেতে উঠবে মহামিছিল-এ। দুপুর ২টোর সময় জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হবে পদযাত্রা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ওই পদযাত্রা শেষ হবে রেড রোডে।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামিকাল আমাদের মিছিল হচ্ছে। বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো ‘শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সবাইকে এই মিছিলে অংশ নিতে আহ্বান জানাই। এ’বছর আমাদের দুর্গাপুজো ১ মাস আগেই শুরু হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্গোৎসব এ বার এক মাস আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। ক্লাব কমিটি-সহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হবে। বেলা ২টোর মধ্যে সকলকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যাঁরা হাঁটতে ইচ্ছুক, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির কাছে চলে আসুন। বিশ্ববন্দিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটি ছুয়ে শুরু হবে মিছিল।’’ এদিন মমতা বলেন, ‘‘আলাদা করে কাউকে বলতে পারব না, সকলের জন্য রইল আমন্ত্রণ। দলমত নির্বিশেষে পায়ে পায়ে পা মেলাবেন, ঢাকের সঙ্গে, ধামসার সঙ্গে, শঙ্খের সঙ্গে, সর্ব ধর্ম, সর্ব বর্ণ, সর্ব জাতি সকলকে আমন্ত্রণ জানাব। কারণ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’’
অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শহরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের নেতৃত্ব দেবেন ২২ জন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), ৪০ জন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার (এসি)। প্রত্যেক জোনে নেতৃত্বে দেবেন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের সাহায্য করবেন এসি। গিরিশ পার্ক থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত থাকবে ৫৫টি পুলিশ পিকেট। তিনটি কুইক রেসপন্স টিম, ন’টি পিসিআর ভ্যান, ১১টি হেভি রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াডস মোতায়েন থাকবে।
পদযাত্রার জন্য বৃহস্পতিবার বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ থাকবে। উত্তর কলকাতায় যেতে হলে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, স্ট্র্যান্ড রোড ধরতে হবে। স্ট্র্যান্ড রোডে বৃহস্পতিবার পার্কিং থাকবে না। দুপুর ১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে রেড রোড। হাওড়া যেতে হলে ধরতে হবে স্ট্র্যান্ড রোড। শিয়ালদহগামী বাস এজেসি বোস রোড বা এপিসি রোড ধরবে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে ট্রাফিকের অভিমুখ ঘোরানো হবে।
আর মমতার কথায়, ‘‘মিছিলটি ঐতিহাসিক মিছিল হিসাবে গণ্য করতে হবে। এ’বারের মিছিল অনেক রঙিন করতে হবে। যাতে রং থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাই রঙ রাখবেন, রঙিন ছাতা, রঙিন জামাকাপড় পরে আসবেন।’’