রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ব্রিগেড নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়ালেন দেবাংশু-সৌরভ

September 1, 2022 | 2 min read

৩১ আগস্ট গতকাল ছিল গণেশ চতুর্থী। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর সংখ্যায় এবং বহরে গণেশ চতুর্থী অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে বাংলায়। গণেশ চতুর্থীকে নিয়ে করা একটি ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট বক্সে ব্রিগেড নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়ালেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যনির্দেশক সৌরভ পালোধি।

সৌরভ ৩০ আগস্ট একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লিখছেন, “তোমাকে গণেশ পুজোর শুভেচ্ছা জানাই, এই মেসেজে ছয়লাপ। শালা, এটা দেখাও বাকি ছিল। অকারণ জিনিসপত্র না করে দুটো ব্লাড ডোনেশন তো করতে পারে। পুনশ্চ: প্রথম কমেন্ট – পারবেন মুসলিমদের অনুষ্ঠান নিয়ে এসব বলতে?” ওই পোস্টের কমেন্ট সেকশনেই ব্রিগেড ঘিরে তর্কে জড়ালেন দেবাংশু ও সৌরভ।প্রসঙ্গত, সমাজ মাধ্যমে সৌরভ বামেদের হয়ে নিয়মিত গলা ফাটান।

সৌরভের গতকালের করা পোস্টের কমেন্ট বক্সে ব্যঙ্গাত্মকভাবে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ‘একটা ইয়া বড় ব্রিগেড না করে, সেই বিপুল খরচা দিয়ে কয়েক হাজার ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প হত। তাতে টুম্পারাও রক্ত দিত। আর সেখান থেকেই কিছুটা রক্ত নিয়ে কয়েকটা মা”কে বেছে নিয়ে সিম্বলিক ভাত মেখেও খাওয়ানো যেত.. ভাইজানও এত রক্ত দেখে খুশি হত.. পাম অ্যাভিনিউতে থাকা লোকটাও অনেক দিন পর আনন্দে আরেকটা “খাটের নীচে মহাবিশৃঙ্খলা” লিখে ফেলতে পারত..অকারণ ব্রিগেড, বিগ্রেড ইত্যাদি জিনিসপত্র না করে এটাও তো করা যেত!’

এরপরেই পাল্টা উত্তর দিতে আসেন সৌরভ পালোধি। ফিরতি কমেন্টে তিনি লেখেন, “thanks for “ইয়া বড় ব্রিগেড” বন্ধু।” প্রসঙ্গত, বামেরা দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিগেডে রাজনৈতিক সভা করে। ব্রিগেডে ভিড় হলেও বামেদের ভোট বাক্সে তার প্রতিফলন হয় না। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে নানান ধরণের ট্রোলের মুখোমুখি হতে হয় বামেদের। বিগত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ অর্থাৎ সংযুক্ত মোর্চা যৌথভাবে ব্রিগেড আয়োজন করেছিল। যদিও আবব্বাস ও অধীর কাণ্ডে সেবার ব্রিগেডের তাল কেটেছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Facebook, #Cpim, #Debangshu Bhattacharya, #saurav palodhi, #tmc

আরো দেখুন