ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানালো গোটা বাংলা, উত্তর থেকে দক্ষিণ পা মেলালো অগণিত মানুষ
বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। সেই স্বীকৃতি প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে, রাজ্যের তরফে মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। আজ সেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ পা মেলালেন। জনতা মুখরিত সমুদ্রে ভাসল মহানগরী। ১লা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গেল পুজোর আমেজ। তবে কেবল কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যজুড়েই আবেগে-আনন্দে, উচ্ছ্বাসের প্লাবন এসেছে। এদিন কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় কলকাতার মতোই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
আজ দুপুরে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। ওই শোভাযাত্রায় মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা অংশ নেন। স্কুল পড়ুয়ারাও তাতে সামিল হন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বারাসত বিদ্যাসাগর স্টেডিয়াম থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আরম্ভ হয়ে তা কেএমসি রোড ও যশোর রোড হয়ে মধ্যমগ্রামে পৌঁছয়। জেলার নানা প্রান্তে উদ্যোক্তারা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। ধামসা-মাদল, ঢাক নিয়ে বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এবং টাকি সীমান্তে দুর্গা প্রতিমাসহযোগে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় হাঁটলেন অগুনিত মানুষ। বসিরহাটের নানান ক্লাব থেকে শুরু করে ইটিন্ডা রোড, টাকি রোড, হাসনাবাদের টাকি রাজবাড়ির বহু প্রাচীন যেসব জমিদার বাড়ির পুজো রয়েছে, সেসব পরিবারের সদস্যরাও এদিনের শোভাযাত্রায় সামিল হন।
বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হল পূর্ব বর্ধমানেও। পূর্ব বর্ধমানের বড় নীলপুর থেকে টাউন হল পর্যন্ত শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। বাদ যায়নি পুরুলিয়াও। ঐতিহ্যবাহী ছৌ নাচ, নাটুয়াদের ও ঢাকিদের বাজনার তালে তালে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। পুরুলিয়ার মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন ময়দান থেকে ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা চলে। বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল ময়দান থেকে বাঁকুড়ার প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা অবধি শোভাযাত্রা চলে। লোক শিল্পীরা এই শোভাযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন।
ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি উত্তরবঙ্গও। জলপাইগুড়িতে সমাজপাড়ার রবীন্দ্রভবন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। কেউ কেউ সেখানে দুর্গা সেজে শোভাযাত্রার অংশ নেন৷ দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটেও শোভাযাত্রা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জেও শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় থেকে এদিন শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল।